Last Updated: May 10, 2012 14:21

প্রদীপ তা, কমল গায়েন হত্যাকাণ্ডে চার্ডশিট পেশ করল সিআইডি। ঘটনার ৭৮ দিন পর বর্ধমান আদালতে চার্জশিট পেশ করল তদন্তকারী সংস্থাটি। মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানের দোওয়ানদিঘিতে খুন হয়েছিলেন সিপিআইএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা এবং সিপিআইএম নেতা কমল গায়েন। অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রাজনৈতিক সংঘর্ষে দুই সিপিএম নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্ত শুরুর আগেই মন্তব্য করেছিলেন শাসক দলের একাধিক নেতা। তবে এদিন চার্জশিট পেশ হলে দেখা যায়, কোনও সংঘর্ষে ওই দুই সিপিএম নেতার মৃত্যু হয়নি বলে উল্লেখ করেছে সিআইডি। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ঘটনার আগের দিন এক সিপিআইএম কর্মীকে মারধর করা হয়। তারই প্রতিবাদে পরের দিন প্রদীপ তা এবং কমল গায়েন, এই দুই সিপিআইএম নেতার উদ্যোগে এলাকায় একটি মিছিল সংগঠিত হয়। সেই মিছিলেই আক্রমণ চালানো হয় বলে সিআইডি চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি। এই ১৯ জনের মধ্যে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৮ জন ফেরার।
বর্ধমানের দেওয়ানদিঘিতে ২২ ফেব্রুয়ারি লাঠি ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় প্রদীপ তা এবং কমল গায়েনের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রদীপবাবুর। হাসপাতালে মৃত্যু হয় কমল গায়েনের।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বলেছিলেন, এলাকা দখল করতে গিয়েছিল সিপিআইএম। গণরোষের ফলেই খুন হয়েছেন দুই সিপিআইএম নেতা। সেই দুপুরেই একই কথার পুনরাবৃত্তি হয় শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। এই ঘটনা নিয়ে সিপিআইএমের রাজনৈতিক চক্রান্ত চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে দিল্লিতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সিপিএমের অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক প্রদীপ তা ও সিপিএম নেতা কমল রায়। এমনকী নিহত সিপিআইএম নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিআইডি চার্জশিট মুখ্যমন্ত্রী-সহ আরও দুই মন্ত্রীর দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
First Published: Thursday, May 10, 2012, 17:38