Last Updated: October 30, 2013 23:47

সরকারি নির্দেশিকায় গলদ। আর তার জেরে থমকে গেল সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলের স্পনসর্ড স্কুলে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া। কার গাফিলতিতে এই গলদ তা নিয়ে মুখে কুলুপ শিক্ষা দফতরের।
রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা মিশনের টাকা পেতে তড়িঘড়ি রাজ্যের বহু স্কুলকে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত থেকে স্পনসর্ড স্কুলে পরিনত করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই মর্মে পুজোর ছুটির আগে নির্দিষ্ট নির্দেশও জারি করে শিক্ষা দফতর। কিন্তু সেই নির্দেশিকা কার্যকর করতে গিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কারণ নির্দেশে রয়েছে বেজায় গলদ। যেমন নির্দেশে বলা হচ্ছে ১৯৭২ সালের নিয়ম অনুযায়ী এই পরিবর্তন হবে। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং সেক্রেটারি ঠিক করবে সরকার। কিন্ত উনিশশো বাহাত্তর সালের নিয়ম বলছে ম্যানেজিং কমিটি সেক্রেটারি ও প্রেসিডেন্ট ঠিক করার ক্ষেত্রে সরকারের কোনও ভূমিকা থাকবে না।
দ্বিতীয়ত এক্ষেত্রে স্কুলের একজন কর্মীকে ছাঁটাই বা নিয়োগের ক্ষেত্রে যে নিয়ম উনিশশো বাহাত্তর সালের আইনে বলা হয়েছে বর্তমানে সেই মিয়ন মানাই হয়না। বর্তমানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমেই একজন শিক্ষক নিয়োগ হয়। তাছাড়াও শিক্ষা অধিকার আইন বলছে পরিচালন সমিতির সদস্যদের পঁচাত্তর শতাংশই অভিভাবকদের মধ্যে থেকে হতে হবে। কিন্তু সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় তার কোনও উল্লেখ নেই। ফলে একাধিক গলদের ফাঁসে আটকে গেছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল স্পনসর্ড হওয়ার প্রক্রিয়া। কার গলদে এই বিপত্তি তার কোনও উত্তর নেই শিক্ষাদফতরের কাছে।
First Published: Wednesday, October 30, 2013, 23:47