Last Updated: October 7, 2011 16:04

বিশ্বশান্তির সন্ধানে নোবেল শান্তি কমিটির আস্থা রইল আফ্রিকার তিন মহিলার অসামান্য অবদানে।
এই নির্বাচনে একটা বার্তা স্পষ্ট।
সমাজ এবং রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা, গোটা দুনিয়া বিশেষত তৃতীয় বিশ্বে তার প্রভাব এবং নারীর ক্ষমতায়নের উপরেই জোর দিতে চেয়েছে নোবেল কমিটি।
শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ, সে দেশেরই মহিলা সমাজকর্মী লেমা বিউই এবং ইয়েমেনের সাংবাদিক
ও মানবাধিকারকর্মী তাওয়াকল কারমানের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক হিসেবে ঘোষণা করা হল। বাহাত্তর বছর বয়সী জনসন আফ্রিকার প্রথম নির্বাচিত মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন দু'হাজার ছয়ে। জনসনের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন লাইবেরিয়ার সমাজকর্মী লেমা বিউই।
ভয়াবহ জাতি দাঙ্গা, গৃহযুদ্ধ ও দারিদ্রে ক্ষতবিক্ষত দেশে অহিংস আন্দোলনে মেয়েদের যোগদান সুনিশ্চিত করেন লেমা। তাঁর একক চেষ্টাতেই জাতি-সম্প্রদায় নির্বিশেষে দু'হাজার পাঁচের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল
সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেন লাইবেরিয়ার মহিলারা। ক্ষমতায় আসেন এলেন জনসন সারলিফ। ইয়েমেনের সমাজকর্মী ও সাংবাদিক তাওয়াকল কারমেনের লড়াইটা আবার অন্য রকম। ইয়েমেনের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লা সালের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ
আন্দোলনের পুরোভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন কারমান। আফ্রিকার এই তিন মহিলার লড়াইকে হিংসা, লিঙ্গবৈষম্য এবং অনগ্রসরতার বিরুদ্ধে
গণতান্ত্রিক ও অহিংস আন্দোলনের স্বীকৃতি বলে ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি।
First Published: Friday, October 7, 2011, 21:04