Last Updated: April 29, 2014 16:06

উপাচার্য খুঁজতে ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিল প্রেসিডেন্সি। আবেদন করলেন দেশ বিদেশের অগ্রগণ্য শিক্ষাবিদরা। অথচ সেই বিজ্ঞাপন থেকে কোনও ব্যক্তিকেই ডাকল না সার্চ কমিটি। যে তিনজনকে মনোনীত করল তাদের মধ্যে দুজনই পদ গ্রহন করতে অস্বীকার করলেন। প্রশ্ন উঠছে, যারা আবেদন করেছিলেন তাঁদের মধ্যে কেউই কি যোগ্য ছিলেন না? তথ্য কিন্তু বলছে অন্য কথা।
দিল্লি ইউনিভার্সিটির বায়োকেমিস্ট্রির প্রাক্তন ডিন এবং বিভাগীয় প্রধান, শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার পাওয়া, নিজের নামে দুটি পেটেন্ট, আটচল্লিশটি রিসার্চ পেপার--প্রেসিডেন্সির উপাচার্য পদে আবেদনকারীদের তালিকার শীর্ষে ছিলেন এই অধ্যাপক। তাঁকে যারা সমর্থন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অগ্রগণ্য শিক্ষাবিদরা। এছাড়াও আবেদনকারীদের তালিকায় ছিলেন, আইআইটি খড়গপুরের এক অধ্যাপক, যিনিও ভাটনাগর পুরস্কার পেয়েছেন। গুজরাতের এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়াও রাজ্যের তিনটি বিশ্ববিদ্যায়ের তিন জন স্থায়ী এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অস্থায়ী উপাচার্য আবেদন করেছিলেন, যাদের প্রত্যেকের বায়োডাটাই চোখে পড়ার মতো।
প্রেসিডেন্সির উপাচার্য পদে এদের সকলেরই নাম নথিভুক্ত রয়েছে আবেদনকারীর তালিকায়। কিন্তু তিন সদস্যের সার্চ কমিটি, যেখানে ইউজিসির চেয়ারম্যান ছাড়াও মেন্টর গ্রপের এক সদস্য এবং মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু সদস্য ছিলেন, তাঁরা ওই বিয়াল্লিশ জনের কাউকেই চূড়ান্ত করেননি। এক্ষেত্রে নিয়ম বলছে, সার্চ কমিটি প্রয়োজন মনে করলে কাউকে নাও বাছাই করতে পারে। কিন্তু, কার্যক্ষেত্রে তাঁরা যাদের নাম চূড়ান্ত করেছেন, তাঁদের মধ্যে দুজন সরাসরি দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এমন কারও নাম তাঁরা কেন চূড়ান্ত করলেন যাঁদের আদপেও উপাচার্য পদের দায়িত্ব নেওয়ার কোনও আগ্রহই ছিল না? তবে কি অন্য কিছু রয়েছে এই উপাচার্য নির্ধারন পদ্ধতির মধ্যে?
First Published: Tuesday, April 29, 2014, 16:06