Last Updated: April 12, 2012 22:00

নোনাডাঙা কাণ্ডে দেবলীনা চক্রবর্তী, পার্থসারথি রায় সহ ৭ জন ধৃতের বিরুদ্ধে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। ধৃতদের ২৬ তারিখ ফের আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিসকে। আগামী ১৭ তারিখ এই মামলার কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক স্বপ্না রায়।
নোনাডাঙার ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত রবিবার দেবলীনা চক্রবর্তী সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। এরপর বিচারকের নির্দেশে তাঁরা পুলিস হেফাজতে ছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে ধৃতদের ফের পেশ করা হয়। আদালতে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য পার্থসারথি রায়ের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। বহু ছাত্রছাত্রীরাও উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারক স্বপ্না রায় সাতজনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কলকাতা পুলিসের তরফে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু কলকাতা পুলিসের তরফে ধৃতদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ দেওয়া সম্ভব হয়নি। সে কারণেই পুলিসের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরই মধ্যে দেবলীনা চক্রবর্তীকে সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। আর তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পর সিআইডি এই আবেদন জানিয়েছে এবং বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে সাতজনই কোর্ট লক আপ থেকে পুলিসের গাড়িতে উঠতে অস্বীকার করে। প্রায় দুঘণ্টা ধরে চলে টানা পোড়েন। অবশেষে সাড়ে সাতটা নাগাদ ধৃত ছজনকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
First Published: Thursday, April 12, 2012, 22:04