Last Updated: April 22, 2012 17:19

নোনাডাঙায় অনশন আন্দোলন তুলে নিলেন বাসিন্দারা। পুনর্বাসন ও বন্দিমুক্তির দাবিতে ১২ দিন ধরে টানা অনশন চালানোর পর রবিবার অনশন তুলে নেন তাঁরা। অনশন আন্দোলনে সামিল হয়েছিল একাধিক গণ সংগঠনও। সম্প্রতি বসিরহাটে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকার বস্তি উচ্ছেদ করবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশ্বাসে ভরসা রাখছেন উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীরা। সেইসঙ্গে তাঁরা দেখেছেন, নতুন করে ঘর বাঁধলেও পুলিস বাধা দিচ্ছে না। সেই কারণেই তাঁরা অনশন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন বলে জানিয়েছেন নোনাডাঙার বাসিন্দারা।
গত ৩০ মার্চ শুক্রবার নোনাডাঙা বস্তির দু'টি কলোনি ভেঙে দেয় কেএমডিএ। তার জেরে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে বহু পরিবার। সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে ৪ এপ্রিল মিছিল করে বাইপাস সংলগ্ন রুবি মোড় অবরোধের চেষ্টা করেন উচ্ছেদ হওয়া বস্তির বাসিন্দারা। উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে ছিল মহিলা ও শিশুদের ভিড়। নোনাডাঙা থেকে শুরু হওয়া মিছিল, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পৌঁছোয় রুবির মোড়ে। তখনই মিছিলের উপর নির্বিচারে লাঠি চালাতে শুরু করে পুলিস। মহিলা পুলিস ছাড়াই মিছিলে থাকা মহিলাদের রাস্তায় ফেলে মারধর করেন কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা। লাঠির আঘাতে জখম হন একাধিক মহিলা। রেয়াত করা হয়নি এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকেও।
৮ এপ্রিল থেকে রবি মোড়ে বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন উচ্ছেদ হওয়া বস্তিবাসীরা। পুলিসি অনুমতি না-নিয়ে অবস্থানের অভিযোগে ৬৯ জনকে আটক করে পুলিস। সন্ধ্যাবেলা এদের মধ্যে ৬২ জনকে ব্যক্তগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হলেও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের জানা যায়। সমস্ত ধৃতদের মুক্তির দাবিতে এর পর লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। নোনাডাঙায় বস্তি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে পুলিসের লাঠি, ধরপাকড়ের জেরে সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। পুনর্বাসন ও ধৃতদের মুক্তির দাবিতে অনশন শুরু করেন নোনাডাঙার বাসিন্দারা। সামিল হয় বিভিন্ন গণ সংগঠনও। নোনাডাঙার বস্তির বাসিন্দারা জানিয়ে দেন, এলাকা ছেড়ে যাবেন না তারা। পাঁচিল তোলার বিরোধিতা করেন তাঁরা। টানা ১২ দিন ধরে অনশন চালানোর পর রবিবার অনশন তুলে নিলেন তাঁরা।
First Published: Sunday, April 22, 2012, 18:30