Last Updated: November 15, 2013 11:33

এনআরএস হাসপাতালের গাফিলতিতে সদ্যোজাতের মৃত্যুর জেরে এবার বড়সড় বদল আসতে চলেছে সরকারি হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে। রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালের জন্য জারি হয়েছে নির্দেশিকা। স্বাস্থ্যদফতরের ওই নির্দেশিকার কপি রাজ্যের সবকটি মেডিকাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
ওটিতে যাওয়ার জন্য বারবার ট্রলি চেয়েও পাননি প্রসূতি। পায়ে হেঁটে ওটিতে যেতে গিয়েই প্রসব হয়ে যায়। এরপর মেঝেতে পড়ে মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনায় তোলপাড় সবমহলে। ২৪ ঘণ্টার সেই খবর সম্প্রচারিত হয়। এরপরই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪৮ ঘন্টার মধ্য রির্পোট জমা দেয় পাঁচ সদস্যের কমিটি। হাসপাতালের তিন কর্মীর গাফিলতির প্রমাণ মেলে। সরিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল সুপার শাশ্বতী ঘোষকে। এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের শিশু মৃত্য প্রতিরোধে গঠিত হাই লেভেল টাস্ক ফোর্স কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করে।
১. প্রসুতি বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীকে প্রতিদিন রাত নটার পর চেকআপ করবেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিতসক। রাত নটার পর এই রাউন্ড দেওয়া বাধ্যতামূলক।
২. প্রসুতি বিভাগে কোনও রোগী ভর্তি হলে সেখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের বিশেষজ্ঞ চিকিতসককে হাজির থাকতে হবে।
৩. প্রসবকালীন মৃত্যু এবং সংকটজনক অবস্থায় কতজন রোগী প্রসুতিবিভাগে ভর্তি আছেন সেই তালিকা প্রতি সপ্তাহে স্বাস্থ্যভবনকে জানাতে হবে।
৪. জুনিয়র ডাক্তারদের সর্বক্ষণ লেবার রুম এবং সদ্যোজাতের ওয়ার্ডে মনিটরিং করতে হবে। প্রসুতিদের পরীক্ষার-নীরিক্ষার পূর্ণাঙ্গ রির্পোট আরএমওদের প্রতি চার ঘন্টা অন্তর
রোগীর বেডের হেড টিকিটে লিখে রাখতে হবে।
৫. প্রতিদিন সন্ধে ছটার পর বাধ্যতামূলকভাবে লেবার রুমের অন ডিউটি মেডিকাল অফিসার এবং জুনিয়র ডাক্তারদের রোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
লেবার রুম প্র্যাকটিস ইমপ্রুভমেন্টের জন্য এই নির্দেশিকা বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকার কপি রাজ্যের সবকটি মেডিকাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
First Published: Friday, November 15, 2013, 11:33