দিকশূন্যপুরে যাত্রা করলেন নীললোহিত (১৯৩৪-২০১২)

দিকশূন্যপুরে যাত্রা করলেন নীললোহিত (১৯৩৪-২০১২)

দিকশূন্যপুরে যাত্রা করলেন নীললোহিত (১৯৩৪-২০১২)বাংলা সংস্কৃতির জগতে নবমীর সকালে বিসর্জনের সুর। বাকি 'অর্দ্ধেক জীবন' কাটিয়েও চলে গেলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। আটাত্তর বছরের বর্ণময় জীবনের স্পন্দন স্তব্ধ হয়ে গেল সোমবার  রাত ২টোয়। অবসান ঘটল বাংলা সাহিত্যের একটা উজ্জ্বল অধ্যায়ের। রেখে গেলেন স্ত্রী স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায় পুত্র শৌভিক আর তাঁর বিশাল সাহিত্য সম্ভারকে। পুজোর আনন্দ উত্সবের মধ্যে 'কৃত্তিবাস'-এর সম্পাদকের  প্রয়াণে অগণিত গুণমুগ্ধ পাঠকের মনে বিষাদের ছায়া। আগামিকাল তাঁর শেষকৃত্য। তার জন্য দেশে ফিরছেন তাঁর বস্টন প্রবাসী ছেলে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের দেহ রাখা হয়েছে পিস হাভেনে।

বড় একা হয়ে গেল নীরারা। থেমে গেল কাকাবাবুর ক্র্যাচের শব্দ। একরাশ শূন্যতা ছড়িয়ে দিকশূন্যপুরের উদ্দেশে যাত্রা করল নীললোহিতের ডিঙা।

কিন্তু সত্যিই কি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অবসান হতে পারে?   সেই সময় থেকে 'পূর্ব-পশ্চিম' অথবা 'প্রথম আলোর' স্রষ্টাকে কি শুধুমাত্র পার্থিব জীবনের গণ্ডিতে বেঁধে রাখা যায়? না, যায়না। তাঁকে ভালবাসার কোন জন্ম নেই, তাঁকে ভালবাসার কোন মৃত্যুও নেই।

না, আর হয়ত 'গল্পের কবিতা কিংবা কবিতার গল্প'  তৈরি হবেনা। 'দুই নারী, হাতে তরবারি' নিয়েও আর কেউ ছুটবেন না। 'রানু ও ভানু'-র উপখ্যন শোনাবারও আর কেউ থাকলেন না। মিশর থেকে সবুজ দ্বীপ ইচ্ছামতো ছোটাছুটি হঠাৎ বন্ধ। গলার ভিতর দলা পাকানো কষ্টটা ভীষণ ভাবে এসব কথা মাথার মধ্যে জানান দিচ্ছে অবিরত। শোক ছড়ানো দম বন্ধ চারপাশ। কিন্তু তার মধ্যেও কোথাও যেন কেউ বলছে যেটুকু মণি-কণা নীললোহিত রেখে গেলেন আমাদের জন্য সেই সব কুড়োতে কুড়োতেই সমৃদ্ধ হবে বাঙালি।  







First Published: Tuesday, October 23, 2012, 12:38


comments powered by Disqus