নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে ফের কাঠগড়ায় ওসি মহম্মদ কলিমুদ্দিন

নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে ফের কাঠগড়ায় ওসি মহম্মদ কলিমুদ্দিন

নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে ফের কাঠগড়ায় ওসি মহম্মদ কলিমুদ্দিনপার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল ফের সেই একই অভিযোগ উঠল। অভিযোগ না নিয়ে নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে দিলেন ওসি মহম্মদ কলিমুদ্দিন। শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করতে কাশীপুর থানায় গিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু ওসি কলিমুদ্দিন তাঁকে ফিরিয়ে দেন। শেষমেষ নিউ মার্কেট থানায় তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা।

ফের কাঠগড়ায় ওসি মহম্মদ কলিমুদ্দিন। অভিযোগ না নিয়ে নির্যাতিতাকে ফিরিয়ে দিলেন মহম্মদ কলিমুদ্দিন। শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করতে কাশীপুর থানায় গিয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু ওসি কলিমুদ্দিন তাঁকে ফিরিয়ে দেন। পরে নিউ মার্কেট থানায় তিন আত্মীয়ের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। চলতি বছরের পয়লা জুলাই আত্মীয়দের সঙ্গে নিউমার্কেট যান ওই মহিলা।

ওসি মহম্মদ কালিমুদ্দিনের আগের কীর্তি পড়ুন এখানে ক্লিক করে


ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার পর ঘণ্টা তিনেকের জন্য বেহুঁশ হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান ফেরার পর বুঝতে পারেন শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে তার উপর। এতদিন ভয়ে খুলতে পারছিলেন না নির্যাতিতা। শেষমেষ মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে ওসির অসহযোগিতায় ফিরতে হয় তাঁকে। ওসি কলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই প্রথম নয়।

পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডে অভিযোগ না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু শাস্তির কোপে পড়েন দুই সাব ইন্সপেক্টর। বেনিয়াপুকুরে এক কনস্টেবলের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সোনালী সাহা নামে এক মহিলার। কালীঘাটের বাসিন্দা ওই মহিলার মৃত্যুর পরেই কাশীপুর থানায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে নির্দেশ যায় ময়নাতদন্তের কাগজপত্র দ্রুত তৈরি করার। সেই কাগজপত্র তৈরি করছিলেন  এস আই বাদল দত্ত। এমন সময় থানায় ঢোকেন মহম্মদ কলিমুদ্দিন।  ওই এস আই কে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন কলিমুদ্দিন।

এস আই জানতে চান কেন গালাগালাজ করছেন কেন? এরপরেই তাকে মারধর করেন কাশীপুর থানার  তত্‍কালীন ওসি কলিমুদ্দিন। পার্কস্ট্রিট থানার এস আই কার্তিক চট্টোপাধ্যায়ের আত্মহত্যার সময়ে ওসি ছিলেন কলিমুদ্দিন।  আত্মহত্যার পর  এস আই কার্তিক চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ত্রী ও মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করেন। ওসিকে আড়াল করতেই মুখ্যমন্ত্রী ওই বন্দোবস্ত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আদতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ, পুলিসের উঁচু মহলের একাংশের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে বারবার পার পেয়েছেন ওসি কালিমুদ্দিন।





First Published: Sunday, October 20, 2013, 08:33


comments powered by Disqus