Last Updated: October 19, 2013 08:44

ঐন্দ্রিলা দাস মৃত্যু রহস্যের জট খুলল। অবসাদ নয়, প্যানক্রিয়াটাইটিসে মৃত্যু হয়েছে ঐন্দ্রিলার। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যদিও ঐন্দ্রিলার পরিবারের দাবি মেয়ের প্যানক্রিয়াটাইটিসের কথা জানতেনই না তারা। মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার মা।
র্যাগিংয়ের এর আতঙ্ক না অবসাদ? ঠিক কী কারণে অকালে চলে যেত হল দমদম ক্রাইস্ট চার্চ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসকে? এই প্রশ্নে মাসখানেক আগেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। স্কুল জুড়ে চলেছে অভিবাবকদের তাণ্ডব। ইস্তফা দিতে হয়েছে স্কুলের প্রিন্সিপালকে। ঐন্দ্রিলার মৃত্যু ঠিক কী কারণে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শুক্রবারই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে ঐন্দ্রিলার পরিবার। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগে মৃত্যু হয়েছে ঐন্দ্রিলার। দেহের ভেতরে বা বাইরে মেলেনি কোনও আঘাতের চিহ্ন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্মিত সকলেই। প্যানক্রিয়াটাইটিসের মতো ক্রনিক রোগের কোনও লক্ষণই তারা ঐন্দ্রিলার মধ্যে দেখেননি বলে জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার বাবা।
মেয়ের মৃত্যুর জন্য নার্সিংহোমের তিন চিকিত্সকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন ঐন্দ্রিলার মা। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন প্রিনিসিপালের বিরুদ্ধেও। পোস্টমর্টেম রিপোর্টটা মানতেই পারছেন না ঐন্দ্রিলার পরিবারের সদস্যরা। অপেক্ষা এখন ফরেনসিক রিপোর্টের। একই সঙ্গে রয়েছে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আর্তি।
First Published: Saturday, October 19, 2013, 08:44