Last Updated: June 26, 2014 18:35

পূর্ণ হল নরেন্দ্র মোদী সরকারের । দেশের মানুষের জন্য সুদিন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভোটের আগে। এক মাসে সেই পথে কতটা এগোতে পেরেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার? সরকার চালানোর কাজে নতুন কী করেছেন? চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই প্রশাসনের বাড়তি মেদ ঝড়িয়ে ফেলার কাজে হাত দেন নরেন্দ্র মোদী। বিভিন্ন মন্ত্রক যাতে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত পারে তার উদ্যোগ নেন তিনি।
ইউপিএ আমলের মন্ত্রিগোষ্ঠী ও বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠীগুলি ভেঙে দেন মোদী।
পরিকল্পনা প্রণয়ন ও রূপায়ণের জন্য মোদীর মতে মন্ত্রকই যথেষ্ট। তাই ক্ষমতার দ্বিতীয় কেন্দ্র যোজনা কমিশনও কার্যত বিলুপ্তির পথে।
আমলাদের বলা হয়েছে স্বাধীনভাবে এবং নির্ভয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।
ক্ষমতায় আসার পরদিনই কালো টাকা উদ্ধারে গঠন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিদেশ তদন্তকারী দল বা সিট।
অর্থনীতির বাস্তবতাই নরেন্দ্র মোদীর কাছে জনপ্রিয়তার রাজনীতির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাজেটের আগেই চোদ্দ শতাংশের বেশি রেলভাড়া বাড়ানোর অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অবশ্য শহরতলির ট্রেনের ক্ষেত্রে ভাড়াবৃদ্ধি কিছুটা প্রত্যাহারও তাঁকে করতে হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্থির করে দিয়েছেন দশ দফা অ্যাজেন্ডা। মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যগুলির দাবিদাওয়াকে গুরুত্ব দিতে। শুধু তাই নয়, নিজের ঘরে দুর্নীতি আটকাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সম্পত্তির হিসেব দিতেও কড়া নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর। আত্মীয়দের কোনও রকম কোনও সরকারি পদে নিয়োগ করতে পারবেন না মন্ত্রীরা।
প্রথম এক মাসেই বিদেশনীতিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে ক্ষমতার ভারসামন্য রক্ষা করতে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য বেছে নিয়েছেন ভূটান। বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে। শপথ গ্রহণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোও ছিল মোদীর বিদেশনীতির প্রথম বার্তা। আগামী পাঁচ বছর তাঁর যাত্রার দিকে তাকিয়ে থাকবে দেশবাসী।
First Published: Thursday, June 26, 2014, 18:35