Last Updated: October 29, 2012 21:57

হলদিয়ায় সিঙ্গুরের ছায়া দেখছে কংগ্রেস। রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছে সিপিআইএম। হলদিয়ায় রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে কালীদাসের নির্বুদ্ধিতার সঙ্গে তুলনা করেছে বিজেপি। বন্দর শহরে দুষ্কৃতীরাজের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তাদের আশঙ্কা, বন্দরের হাল ফেরাতে অবিলম্বে সরকার হস্তক্ষেপ না করলে, আগামিদিনে রাজ্যের শিল্প ভাবমূর্তি বড়সড় ধাক্কা খাবে।
মধ্যরাতে আবাসনে হানা দিয়ে এবিজির তিন আধিকারিককে অপহরণ। তারপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে শহর ছাড়ার নির্দেশ। হলদিয়ায় দুষ্কৃতীরাজের উদাহরণে স্তম্ভিত রাজনৈতিক মহল। লক্ষ্মীপুজোয় দিনভর কোনও কাজ হয়নি হলদিয়া বন্দরে। এই অচলাবস্থার জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর মতে, রাজ্যে লক্ষ্মীছাড়া সরকারের শাসন চলছে। বন্দরে শ্রমিক আন্দোলনের নামে গুণ্ডামি চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এবিজি থেকে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে শাসক দলের ট্রেড ইউনিয়ন। অপহরণ কাণ্ড নিয়ে এত শোরগোলের পরেও রাজ্য সরকার নীরব থাকায় বিষয়টি আরও ঘোরাল হয়েছে। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হয়েছেন এবিজির কর্মীরা। হলদিয়া বন্দরে অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইঞা। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে শনিবার পন্য খালাস সংস্থার তিন কর্তাকে প্রথমে অপহরণ ও পরে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তা এরাজ্যের শিল্পায়নের পক্ষে ক্ষতিকর। এর ফলে শিল্পমহলের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি হলদিয়ায় এবিজির তিন আধিকারিকের অপহরণের ঘটনায় রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেছেন। অপহরণকারীদের তৃণমূলের সাইলেন্ট ব্রিগেড বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। হলদিয়ার দুষ্কৃতীরাজে সিঙ্গুরের মেঘ দেখেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরী। দলতন্ত্র ভুলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা না নিলে, রাজ্যে শিল্প বিনিযোগ ধাক্কা খাবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্মের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
First Published: Monday, October 29, 2012, 21:57