Last Updated: June 21, 2014 15:45

রেলভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। দিল্লিতে কংগ্রেসের একটি বিক্ষোভ মিছিল রেলভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পথ আটকায় পুলিস। বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান চালানো হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীতে বিক্ষোভ দেখায় সমাজবাদী পার্টি। মোদীর কুশপুতুলও দাহ করেন বিক্ষোভকারীরা।
কানপুরেও দাহ হয় প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল। ভুবনেশ্বর স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সিপিআই।ভাড়াবৃদ্ধির জন্য মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে সবকটি বিরোধী রাজনৈতিক দলই।
ডিএমকের প্রতিবাদ-অবিলম্বে বর্ধিত রেলভাড়া করার দাবি জানাল ডিএমকে।
এসইউসিআইয়ের বিক্ষোভ-রেল ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি এসইউসিআই সমর্থকদের। রাজভবনের সামনে পুলিসের সঙ্গে ব্যাপক খণ্ডযূদ্ধ সমর্থকদের। বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে পুলিস।
এদিকে, ক্ষমতায় এসেই রেলের ভাড়া বাড়িয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভাড়াবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে কার্যত দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি। নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, ভাড়াবৃদ্ধির ফলে তাঁদের ওপর বাড়তি খরচের বোঝা চাপবে। আবার নিত্যযাত্রীদেরই অন্য অমশের বক্তব্য, পরিষেবার উন্নতি হলে ভাড়াবাবদ বাড়তি টাকা গুণতে তাঁদের আপত্তি নেই।
রেলবাজেটের আগেই যাত্রীভাড়া ও পণ্যমাসুল বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া। এসি, স্লিপারসহ লোকাল ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে চোদ্দ দশমিক দুই শতাংশ। রেলের পণ্যমাসুল বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ। ফলে এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে মূল্যবৃদ্ধিও। যদিও যাত্রীভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে নিত্যযাত্রীদের মধ্যে। অনেকেই জানিয়েছেন, বর্ধিত ভাড়া গুণতে পকেটে টান পড়বে।
অনেকের আবার চাইছেন ভাড়া বাড়ুক। কিন্তু যাত্রী সুরক্ষা ও রেলের পরিকাঠামো ভাল হতে হবে। বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হবে ২৫ জুন থেকে।
First Published: Saturday, June 21, 2014, 15:45