Last Updated: January 18, 2012 19:30

ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ কূটনৈতিক তিক্ততার হালফিলের চেহারাটা ফের বেআব্রু হল বুধবার। আমেরিকার দূত মার্ক গ্রসম্যানের পাকিস্তান সফরের অনুরোধ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান সরকার।
মার্কিন প্রসিডেন্ট বারাক ওবামার আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত গ্রসম্যান এ সপ্তাহে কাতার এবং আফগানিস্তান সফরে আসছেন। মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিনটন গত সপ্তাহেই একথা জানিয়েছিলেন। পাক-আফগান সীমান্তে তালিবান ও আল কায়দা বিরোধী অভিযানে আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো বাহিনী ও পাক সেনার মধ্যে কার্যকরী সহযোগিতা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করতে ওভাল অফিসের তরফে ইসলামাবাদের কাছে গ্রসম্যানের পাকিস্তান সফরের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন পাকিস্তান সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, `এই মুহূর্তে তা সম্ভব নয়`।

এদিন মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মার্ক টোনার'ও গ্রসম্যানের সফরের বিষয়ে ইসলামাবাদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের বর্তমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু জরুরি পর্যালোচনা চালাচ্ছে সে দেশের জাতীয় আইনসভা। তাই আপাতত মার্ক গ্রসম্যানের সফর স্থগিত রাখার বার্তা পাঠানো হয়েছে পাক সরকারের তরফে।
গিলানি সরকারের এই পদক্ষেপের পিছনে পাক সেনাবাহিনীর বড় ভূমিকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরের মে মাসে জেনারেল কিয়ানির ফৌজ'কে অন্ধকারে রেখে অ্যাবটাবাদের ওয়াজিরিস্তান হাভেলিতে মার্কিন মেরিনস-এর লাদেন-বধ অভিযানের পরই পাক-মার্কিন সম্পর্কে দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। গত ২৬ নভেম্বর আফগান সীমান্তবর্তী ফেডেরালি অ্যাডমিনিস্টারড ট্রাইবাল এরিয়া'য় ন্যাটো'র বিমান হানায় ২৪ জন পাক সেনার মৃত্যুর পর দু'দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদের তরফে ওবামার বিশেষ দূতের পাক সফরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও তিক্ত করে তুলল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
First Published: Thursday, January 19, 2012, 08:37