Last Updated: October 10, 2012 11:39

তালিবানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চেয়েছিল মালালা ইউসুফজাই। স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। আর সেই স্বপ্নেরই মাসুল দিতে হল চোদ্দ বছরের এই কিশোরীকে। স্কুলের সামনে তালিবানি বুলেটে ক্ষত বিক্ষত হতে হল মালালাকে। পেশোয়ারের সামরিক হাসপাতালে গুরুতর জখম মামালার চিকিতসা চলছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-এ-তালিবান।
বছর চারেক আগে পাকিস্তানের সোয়াতে শুরু হয়েছিল তালিবানি দাপট। গোটা অঞ্চল জুড়ে শুরু হয়েছিল চরম অরাজকতা। পশ্চিমি সংস্কৃতির প্রচার হচ্ছে এই অজুহাতে প্রায় সব স্কুল বন্ধ করে দিয়েছিল তালিবান। তালিবানি ফতোয়ায় নিষিদ্ধ হয়ে ছিল মেয়েদের স্কুলে যাওয়াও। কিন্তু এই ফতোয়া মানতে পারেনি বছর এগারোর মালালা ইউসুফজাই। গুল মাকাই ছদ্মনামে উর্দুতে ব্লগ লেখা শুরু করেছিল সে। আর তখন থেকেই হয়ে উঠেছিল তালিবানের চক্ষুশূল। সাহসিকতার সঙ্গে শিক্ষা ও শান্তির প্রচার করার জন্য পাক সরকারের তরফে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাকে। মালালার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে চিকিত্সক হবে সে।
অন্যদিনের মতো সোমবারও স্কুলবাসে বাড়ি ফিরছিল মালালা। পথে তাদের বাস আটকে দেয় দুজন জঙ্গি। বাসে উঠে মালালাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। গুরুতর জখম মালালাকে তখই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরফ।
চিকিত্সার জন্য সরকারি হেলিকপ্টারে করে পেশোয়ারে নিয়ে আসা হয়েছে মালালাকে। চিকিতসার জন্য তাঁকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
First Published: Wednesday, October 10, 2012, 11:39