Last Updated: October 25, 2013 17:17

পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন চলছেই। শুক্রবারও ভারতের ১৭টি সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার শেল ছোঁড়ে পাকসেনা। পাকসেনার গোলাগুলিতে ভারতের এগারোজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। আতঙ্কে ২৫০ বেশি গ্রামবাসী ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছেন। বারবার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছে বিজেপি।
জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে পাকসেনার সন্ত্রাস চলছেই। দুহাজার তিন সালে দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি। কিন্তু গত অগাস্ট থেকে তা শিকেয় তুলে প্রতিদিনই ভারতীয় সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে পাকসেনা। শুক্রবারও জম্মু ও সাম্বা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া সতেরোটি ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাকসেনা। সঙ্গে মর্টার শেল ও গোলা বর্ষণ করা হয়। চলে রকেট হানাও। রামগড়, আর্নিয়া, আরএস পুরা, আখনুর সাব-সেক্টরে পাকসেনার ভারী গোলাবর্ষণের জেরে আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন গ্রামবাসীরা।
হীরানগর সেক্টরেও ভারতীয় সেনাছাউনি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়। পাকসেনার গোলাগুলিতে গত দুদিনে ১১জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছেন। ইসলামাবাদের এই আচরণে বৃহস্পতিবারই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী, একাধিক বিবৃতির পরেও পাকসেনার তরফে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন থামার কোনও লক্ষ্ণণ নেই। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
শীত পড়তে দেরি নেই। আর কদিন বাদেই বরফ পড়ে বন্ধ হয়ে যাবে রাস্তা। তার আগে মরিয়া হয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে পাকজঙ্গিরা। সেই কাজে তাদের সাহায্য করছে পাকসেনা। ইতিমধ্যেই ৩০ থেকে ৪০জন সশস্ত্র জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে কেরন সেক্টরে ঢুকেছে। ন`দিন ধরে ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে তারা। এমনই খবর পেয়েছেন কেন্দ্রের গোয়েন্দারা।
First Published: Friday, October 25, 2013, 17:17