Last Updated: May 10, 2013 14:13

হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায়ে হোঁচট খাওয়ার পর বৈঠকে বসেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি ও আইনমন্ত্রী। বর্ধমানের সভা থাকায় বৈঠকে উপস্থিত নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর মত, আদালতের 'অবাস্তব' রায় রাজ্য সরকারের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, "একদিনের মধ্যে ৪০০ পর্যবেক্ষকের তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তালিকা আগামিকালের মধ্যে জমা দেওয়া অবাস্তব।" তিনি প্রশ্ন তুলেছেন নির্দেশ অনুযায়ী কমিশন যদি ভোটের দিনক্ষণ পরে ঠিক করে, "তাহলে কোন তারিখের ভিত্তিতে আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইব?" তিনি আরও জানান, ''সোমবারই আমরা ডিভিশন বেঞ্চে স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন করব।''
শুক্রবার তিন দফায় পঞ্চায়েত ভোট করার নির্দেশ দেয় কলকাতা আদালত। তারিখ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারের হার নিশ্চিত করে কমিশনের পক্ষেই সায় দিয়েছে আদালত। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভোটের দিন ঘোষণা করতে রাজ্য সরকারের এক তরফা এক্তিয়ার নেই বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য সরকারকে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে হবে। এমনই নির্দেশ এসেছে বহু প্রতীক্ষিত পঞ্চায়েত মামলা রায়ে।
কমিশনের দাবিকে মেনে নিয়েই রাজ্য সরকারকে ৪০০ পর্যবেক্ষক দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত। ৩০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে। পর্যবেক্ষকদের তালিকা আগামিকালের পাঠাতে হবে। ভোটের প্রয়োজনীয় টাকা দেবে সরকারই। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরোও ১০৯ কোটি টাকা ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকেই।
পয়লা এপ্রিল থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষ হয় তেসরা মে। নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী সমরাদিত্য পাল মূলত তিনটি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানান। এগুলি হল, ক-দফায় ভোট হবে, নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কিনা এবং পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইনের বিয়াল্লিশ নম্বর ধারা নির্বাচন কমিশন আইনের তিনশো চব্বিশ নম্বর ধারার পরিপন্থী কিনা।
First Published: Friday, May 10, 2013, 18:57