Last Updated: April 27, 2013 10:08

কমিশনকে লেখা রাজ্য পুলিসের ডিজির চিঠিতে সিএপিএফ শব্দ নিয়ে হাইকোর্টে অস্বস্তি কাটল না রাজ্যের। শুক্রবার আদালতে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসে এনিয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে সিএপিএফ শব্দের অর্থ লিখিতভাবে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
পঞ্চায়েত মামলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাখ্যা ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে বিতর্কের সমাধান হয়নি। গত সপ্তাহে সরকার পক্ষের আইনজীবী অশোক ব্যানার্জী জানিয়েছিলেন, ক্যালকাটা আর্মড পুলিস ফোর্স এর সংক্ষিপ্ত রূপ সিএপিএফ। বিশেষ প্রশিক্ষিত ওই বাহিনী সাধারণ নির্বাচন, হিংসার ঘটনা বা বড় মাপের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় কাজ করে। ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয় মঙ্গলবার। কমিশনের পক্ষে আইনজীবী সমরাদিত্য পাল আদালতে জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গেজেটেড তালিকায় সিএপিএফ নামের যে বাহিনী নথিভুক্ত রয়েছে তার পুরো নাম সেন্ট্রাল আর্মড পুলিস ফোর্স।
শুক্রবার অ্যডভোকেট জেনারেল বিমল চ্যাটার্জী আদালতে সরকারপক্ষের ভুল ব্যখ্যা শুধরে নেন। তাঁর বক্তব্য সরকারপক্ষের আইনজীবী অশোক ব্যানার্জি এবিষয়ে বিশষজ্ঞ নন। তাই ভুল ব্যাখা করা হয়েছে। সিএপিএফ এর অর্থ সেন্ট্রাল আর্মড পুলিস ফোর্সই। এরপরই বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত্ মুখোপাধ্যায়কে লিখিতভাবে সিএপিএফ-এর ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চ্যাটার্জি আদালতে অভিযোগ করেন, বাস্তব পরিস্হিতি না জেনেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছ কমিশন। রাজ্যের উত্তেজনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত না করেই কিভাবে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করল সেই প্রশ্নও তুলেছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। কমিশনের একাধিক দফায় ভোট চাওয়ার দাবিরও সমালোচনা করেছেন তিনি । অতীতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, একাধিক দফায় যখন ভোট হয়েছে তখন হিংসার ঘটনা বেশি ঘটেছে। আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি। তবে নিজেদের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে অস্বস্তি এখনও কাটেনি রাজ্য সরকারের।
First Published: Saturday, April 27, 2013, 10:08