Last Updated: March 2, 2013 16:06

শোরগোল ফেলে দেওয়া পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার শুনানি শুরু হল আজ। শুরু হল নজিরবিহীন গোপনীয়তায়। শুনানি চলাকালীন আইনজীবী ছাড়া আদালতকক্ষে কেউ থাকতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন ব্যাঙ্কশাল আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক থার্ড কোর্টের বিচারক। তেরোই মার্চ পরবর্তী শুনানির দিনই সাক্ষ্য নেওয়া হবে অভিযোগকারিণীর।
পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিনই ধাক্কা। নৈশ ক্লাবের বাইরে ও ভিতরের একটি নকশা বানিয়েছিল কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। রবীন্দ্রসদন এলাকা, অর্থাত্ অভিযোগকারিণীর বয়ান অনুযায়ী, যেখানে তাঁকে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা, সেখানকার নকশাও বানানো হয়। গোয়েন্দা বিভাগের প্ল্যান মেকার কাজল মণ্ডল তৈরি করেছিলেন নকশা দুটি। পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার প্রথম দিনই তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের আইনজীবীরা বলেন, প্রথম নকশায় হোটেলের চারটি বেরনোর রাস্তা দেখানো হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আছে দুটি। অর্থাত্ ঘটনাস্থেল না গিয়ে ঘরে বসে নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, নৈশ ক্লাবের ভিতরে চেয়ার টেবিলগুলি যেখানে দেখানো হয়েছে, তা যে ওই রাতে ওইরকম অবস্থানেই ছিল, তা কী ভাবে জানলেন নকশাকারী?
আদালত সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের আইনজীবীদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি গোয়েন্দা পুলিসের প্ল্যান মেকার কাজল মণ্ডল।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে দ্বিতীয় নকশা দেখিয়ে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, অভিযোগকারিণীকে যেখানে ফেলা হয় বলে অভিযোগ, সেখান থেকে মাত্র পাঁচ মিটার দূরে ময়দান থানা। তবু কেন পুলিসের কাছে গেলেন না অভিযোগকারিণী?
বিস্ময়কর হলেও সত্যি, পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডের ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও আদালতে জমা পড়েনি। তাতে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারক। দ্রুত ওই ফরেনসিক রিপোর্ট চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও সূত্রের খবর। সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিচারক বিভিন্ন মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট দেরিতে আসাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক থার্ড কোর্টে বিচারক মধুছন্দা বোস এই মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। শুনানি চলাকালীন আদালতকক্ষে আইনজীবীরা ছাড়া আর কেউই থাকতে পারবেন না। সংবাদমাধ্যম, অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্তদের পরিবারের কোনও সদস্যকেও কোর্টরুমে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই নির্দেশের জেরে শনিবার আদালতকক্ষের বাইরে থাকতে হয় মামলার তদন্তকারী অফিসারকেও।
First Published: Saturday, March 2, 2013, 20:17