Last Updated: June 21, 2014 08:14

১৪টি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যার মধ্যে অন্যতম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারপার্সন সুরঞ্জনা চক্রবর্তীও।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরে যেতে হল ১৪টি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। যার মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি সুরঞ্জনা চক্রবর্তীও। সম্প্রতি টেট কেলেঙ্কারির জেরে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন সুরঞ্জনা চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তিনি স্বীকার করেছিলেন, শাসক দলের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী টেটে নিয়োগ হয়েছিল। চব্বিশ ঘণ্টায় প্রথম সম্প্রচার করা হয় সেই ছবি।
শিক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ সপ্তাহেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, টেট নিয়োগে তিনি কোনও দুর্নীতি হতে দেবেন না। এরপরই সুরঞ্জনা চক্রবর্তীর সরে যাওয়ার ঘটনাকে যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে শিক্ষামহল। যদিও রাজ্যের শিক্ষা দফতর এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের বক্তব্য, যেসব সভাপতিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তিনবছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন।
রাজ্যে পালা বদলের পর নতুন সরকারের আমলে এই চোদ্দোটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে অনেকেই বিগত সরকারের আমলেও একই পদে ছিলেন। আবার অনেকের নিয়োগ ব্রাত্য বসুর আমলে। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, শিক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরঞ্জনা চক্রবর্তী সহ ব্রাত্য বসু ঘনিষ্ঠ সভাপতিদের সরিয়ে, সেজায়গায় নিজের পছন্দের লোকজনদের ক্ষমতায় বসাতেই এই নির্দেশ নতুন শিক্ষামন্ত্রীর।
কারণ টেট দুর্নীতির জন্যই যদি সুরঞ্জনা চক্রবর্তীদের সরে যেতে হল, তাহলে প্রাথমিক বোর্ডের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। টেট প্রসঙ্গে তিনিও বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। সেছবিও আমরা সম্প্রচার করা হয়েছিল চব্বিশ ঘণ্টা চ্যানেল ও ওয়েবসাইটে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত চোদ্দোটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি নিয়োগের কাজ সম্পন্ন হবে।
First Published: Saturday, June 21, 2014, 08:18