patuli murder: body recoverd from kitchen

রান্নাঘরের স্ল্যাবের তলায় গাঁথনি ভেঙে গৃহকর্তার দেহ উদ্ধার

খুন করে দেহ রেখে দেওয়া হয়েছিল রান্নাঘরের স্ল্যাবের তলায়। অপরাধ ঢাকতে ইটের গাঁথনিও তুলে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পুলিসে খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিস এসে গন্ধের উত্স খুঁজতে শুরু করে। তখনই গাঁথনির ভিতর থেকে আবিষ্কার হয় পচাগলা দেহ। মঙ্গলবার বিকেলে এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল পাটুলির কেন্দুয়া মেন রোড এলাকা।

পাটুলির কেন্দুয়া মেন রোডের এই বাড়ি থেকে গত দুদিন ধরেই একটা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। প্রথমে কেউ আমল দেননি। কিন্তু মঙ্গলবার দুর্গন্ধে এলাকায় তিষ্ঠোতে পারছিলেন না তাঁরা। খবর দেওয়া হয় পাটুলি থানায়। পুলিস এসে গন্ধের উত্স খুঁজতে শুরু করে। একতলায় তল্লাসি সেরে দোতলায় ওঠে পুলিস। সঙ্গেছিলেন হোমিসাইড শাখার কয়েকজন অফিসার। রান্নাঘরে ঢুকেই ভ্রু কুঁচকে যায় গোয়েন্দাদের। দেখেন গ্যাসওভেন রাখার স্ল্যাবের নীচে গ্যাস সিলিন্ডার রাখার জায়গায় ইট সিমেন্টের নতুন গাঁথনি তোলা হয়েছে। সেখান থেকেই ভেসে আসছেতীব্র কটু গন্ধ। গাঁথনি ভেঙে ফেলতেই দেখা যায় ভিতরে রয়েছে একটি পচাগলা দেহ। সারা শরীর মশারি দিয়ে ঢাকা। হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। পা মোড়া অবস্থায় বসিয়ে রাখা হয়েছে দেহটিকে।

গাঁথনি দেখেই পুলিস বুঝতে পেরেছিল, এ কোনও কাঁচা হাতের কাজ। কিন্তু দেহের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল, যে তাকে আর সনাক্ত করা যাচ্ছিল না। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পারে ওই দেহ শঙ্করপ্রসাদ রায়ের।

খুনের ধরন দেখে পুলিসের অনুমান, ঠান্ডা মাথায় শঙ্করপ্রসাদকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে একাধিক আততায়ী জড়িত। গলায় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে পুলিসের অনুমান। ময়না তদন্তের পরই তা স্পষ্ট হবে। নিহতের ঘর থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, শঙ্করপ্রসাদ রায়ের স্ত্রী ও মেয়ে ছবছর আগে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যান। কালীপুজোর পর থেকে থাকতেন না ভাগ্নে ও বোনও। তাঁরা ঘাটশিলার বাড়িতে চলে যান। তাই কালীপুজোর পর থেকে দোতলা বাড়িতে একলাই থাকতেন শঙ্করপ্রসাদ রায়। টিউশন পড়াতেন।

ছোটখাটো ব্যসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে ধন্দ রয়েছে। পুলিসের সন্দেহ এর পিছনে সম্পত্তিগত কোনও পারিবারিক বিবাদ থাকতে পারে। পাটুলি থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। দুদশক আগে একই কায়দায় বটতলা এলাকায় খুন করা হয় এক পুলিসকর্মীকে। ওই ঘটনায় নিহত পুলিসকর্মীর পরিবারের সদস্যকে ফাঁসির সাজা দেয় আদালত।

First Published: Wednesday, December 11, 2013, 09:59


comments powered by Disqus