Last Updated: September 11, 2012 13:25

তৃণমূল কংগ্রেস সহ অনান্য সহযোগীদের ক্রমাগত চাপে জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত বৈঠক পিছিয়ে দিতে বাধ্য হলেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক বিষয়ক কমেটি। মঙ্গলবার বিকেলে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী এই বিষয়টি নিয়ে এবার আলোচনা হবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বৈঠকে। যদিও এখনও পর্যন্ত বৈঠকের দিন নির্ধারিত হয়নি।
গত বছরের জুন মাস থেকে একবারও বাড়েনি রান্নার গ্যাস, কেরোসিন, ডিজেলের দাম। যদিও পেট্রপণ্যের উৎপাদন মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ শতাংশ। দাম না বাড়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা গুলো। এই পরিস্থিতিতে ডিজেল, কেরোসিন ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো ছাড়া কোনও উপায় নেই বলে দাবী করেছিলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি। গত সপ্তাহে তিনি মন্তব্য করেছিলেন ''পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধি না করার ফলে দেশীয় অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ইচ্ছা না থাকা সত্বেও পেট্রপন্যের দাম বৃদ্ধি আমাদের করতেই হবে।''
''দু'বছর আগেই তেল উৎপাদনকারী সংস্থা গুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিশ্ব বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে পেট্রলের দাম বাড়তেই পাড়ে তারা। কিন্তু এখনও সংস্থা গুলো সরকারের সাথে আলোচনা করেই ভারতের বাজারে পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে।'' ভারতীয় ওয়েল কর্পোরেশনের প্রধান আর এস বুটোলা কিছুদিন আগেই এই কথা জানিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছিলেন ''এরকম অবস্থায় পেট্রলের দাম বাড়ানো প্রয়োজনীয়। পেট্রলের দাম বৃদ্ধি না করার জন্য আইওসির প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে১৬ কোটি টাকা।''
সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই সরকার পেট্রোপণ্যের দাম বাড়াতে চাইছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। ভর্তুকি দেওয়া রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের সংখ্যা পরিবার পিছু বছরে চার থেকে ছ`টি করার জন্যও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর পক্ষ থেকে। শরিকদের চাপে কতদিন পেট্রপণ্যের দাম বৃদ্ধি আঁটকে থাকবে এখন তা নিয়েই সরগরম রাজনৈতিক মহল।
First Published: Tuesday, September 11, 2012, 16:46