Last Updated: October 1, 2011 10:47

সংবাদ চ্যানেল আল জাজিরার কায়রোর দফতরে ফের পুলিসি অভিযান হল বৃহস্পতিবার। লাইসেন্স ছাড়াই আজ জাজিরা কাজ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করে এ মাসে দ্বিতীয় বার অভিযান চালিয়ে মিশরের পুলিস বেশ কিছু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি আল জাজিরার এক সংবাদকর্মীকেও গ্রেফতার করেছে মিশরের পুলিশ।
মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য বলছেন, সংবাদমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েমের এ হল প্রথম পদক্ষেপ। মিশরের ক্ষমতাসীন সেনা পরিষদ যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আল জাজিরার কায়রো শাখার প্রধান আহমেদ জেইনের কথায়, "ওরা আচমকা অভিযান শুরু করে। পরিচয়ও দিতে চায়নি ওরা। আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। আমাদের এক সাংবাদিক সহকর্মীকে ধরেও নিয়ে যায়।" তাঁর দাবি, "আল জাজিরার সদর দফতরের জন্য অন্য ঠিকানায় নতুন লাইসেন্স নিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী আবেদন করা হয়েছে। আশা করি, আগামী রবিবার অনুমতিপত্র পেয়ে যাব।"পাবেন বলেন আশা করা হচ্ছে।
১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করা আল জাজিরা এখন মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় সংবাদ চ্যানেল। মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সময়েও বারবার হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে আল জাজিরাকে। আন্দোলনকারীদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে জানুয়ারিতে মিশরে আল জাজিরার কাজকর্ম বন্ধও করে দেওয়া হয়।
সাধারণ মানুষের আন্দোলনের জেরে মুবারক ক্ষমতাচ্যুত। মিশরের ক্ষমতায় এখন সেনাবাহিনী। মিশরের বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ওসামা হেইকাল গত সপ্তাহেই বলেছিলেন, "আল জাজিরার সঙ্গে সরকারের কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ওরা প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই কাজকর্ম চালাচ্ছে।"
মানবাধিকার কর্মীদের পেশ করা তথ্য কিন্তু বলছে, `সমস্যা` আছে। গত জুলাইয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলি জানায়, সেনা শাসনের সমালোচনা করায় প্রায় আধ ডজন সাংবাদিক ও ব্লগারকে নাজেহাল করেছে সরকার। তারপর থেকে সাংবাদিক ও ব্লগারদের হয়রানির ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এ মাসের প্রথম আর শেষ সপ্তাহে আল জাজিরার কায়রো কার্যালয়ে অভিযান তারই উদাহরণ বলে অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
First Published: Saturday, October 1, 2011, 10:47