Last Updated: September 20, 2013 10:09

ক্রাইস্টচার্চ কাণ্ডে ফের প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা। তৈরি হওয়ার পরেও বেশকিছু দিন এনআরএস হাসপাতালেই পড়ে রইল ঐন্দ্রিলা দাসের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। শেষে হাসপাতালের উদ্যোগে গতকাল তা তুলে দেওয়া হয় পুলিসের হাতে। তবে প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হওয়ায় এবার ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা চলছিল ক্রাইস্টচার্চ স্কুলের ছাত্রী ঐন্দ্রিলা দাসের। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ছাত্রীর দেহ হাসপাতালে নিয়ে যায় ফুলবাগান থানা। তাই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি হওয়ার পর তা নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিঠি দেয় ফুলবাগান থানাকে। কিন্তু ফুলবাগান থানা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বাগুইআটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে। কারণ ওই ছাত্রীর বাড়ি বাগুইআটি থানা এলাকায়। হাসপাতালের তরফে তখন বাইগুআটি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানায় ঘটনাটি যেহেতু দমদম থানা এলাকার, তাই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তারাই নেবে। শেষপর্যন্ত এনআ। এই হাসপাতালের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দমদম থানার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই রিপোর্ট। তবে সেই রিপোর্ট থেকে ঐন্দ্রিলা দাসের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ওই ছাত্রীর দেহে বাহ্যিক কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মেলেনি কোনও অভ্যন্তরীণ আঘাতেরও চিহ্ন। এমনটাই হাসপাতাল সূত্রের খবর। তাই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে এবার ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।
পরীক্ষা করবেন এনআরএস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞরা। তারপরই তৈরি হবে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে পুলিসের হাতে। তবে ঐন্দ্রিলা দাসের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিসের বিরুদ্ধে যে অনীহার অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বারাকপুরের পুলিসের কর্তারা।
First Published: Friday, September 20, 2013, 10:09