Last Updated: February 16, 2012 19:17

পার্ক স্ট্রিটে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মহিলার ধর্ষনের ঘটনায় পুলিসি গড়িমসির অভিযোগ আনল মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ। তাদের অভিযোগ, ১৪ তারিখ ফরেনসিক পরীক্ষা হলেও ২দিন পর দুপুরে পার্ক স্ট্রিট থানা রিপোর্ট নিয়ে যায়। অর্থাত্ গোটা ঘটনাতেই প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা়ই প্রকট হয়ে উঠছে। প্রথমত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই মহিলা পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ জানালেও তিনি এফআইআর-এর কপি পান ১৪ তারিখ। কিন্তু নিয়মানুসারে, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর এই কপি পাওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্ষিতার মেডিক্যাল টেস্ট করা উচিত ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে ঘটনার ৮ দিন পর। এমনকী মহিলার পোশাকও সংগ্রহ করেনি পুলিস। যা এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ দিতে পারে। তদন্তের এই অংশ বাদ দিলেও, মহিলার আরও একটি গুরুতর অভিযোগ, এফআইআর করতে গেলে তাঁর এবং তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিস।
পার্ক স্ট্রিটের মত জায়গায় এরকম ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলছে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে। পার্ক স্ট্রিট থানায় পরিকাঠামোগত যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলেও পুলিস সূত্রে খবর। ২০৫ জন পুলিসকর্মীর জায়গায় রয়েছেন মাত্র ৮৯ জন। একজন ওসি, একজন অতিরিক্ত ওসি, ১২ জন সাব ইন্সপেক্টর, ১৬ জন অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর, ৪৫ জন কন্সটেবল এবং ১৬ জন স্পেশাল ডিউটি কর্মী রয়েছেন পার্ক স্ট্রিটে। অথচ থাকার কথা একজন ওসি, ২ একজন জন অতিরিক্ত ওসি, ১৬ জন সাব ইন্সপেক্টর, ২৮ জন অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর, ১০৪ জন কন্সটেবল এবং ৫৪ জন স্পেশাল ডিউটি কর্মী।
অপরদিকে পার্ক স্ট্রিটের মত জায়গায় মহিলার ধর্ষণ এবং থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিসি হেনস্থার ঘটনায় রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য গোটা ঘটনাটাই নাকি সংবাদমাধ্যমের চক্রান্ত। সংবাদমাধ্যম অযথা ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে।
First Published: Thursday, February 16, 2012, 19:22