Last Updated: October 13, 2011 15:00

শেষ পর্যন্ত ইসিএলের পাওনার কিছু টাকা মিটিয়েই রাজ্যের বিদ্যুত ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করল
সরকার। ঠিক হয়েছে ইসিএলকে আজই ষাট কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হবে।
মহাকরণে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গে বৈঠকের পর, এ কথা জানান বিদ্যুত্মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত।
সেক্ষেত্রে কয়লার যোগান বাড়লে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
রাজ্যে বিদ্যুত্ ঘাটতি মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
বুধবারই কথা বলেন বিদ্যুত্মন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। রাজ্যের বিদ্যুত্ পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী
অমিত মিত্র এবং শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মহাকরণে বৈঠক করেন মণীশ গুপ্ত।
এরপরই জরুরি ভিত্তিতে ইসিএলকে বকেয়া টাকার কিছুটা মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে ইসিএলের টাকা মেটানোর পরেও যে পরিমান কয়লা যোগান দেওয়া হবে তাতে
আপাতত পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সমস্যা মিটবে না। কারণ কালীপুজো এবং দীপাবলির
কারণে চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যাবে। একে গরম, তার মধ্যে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের জেরে
বৃহস্পতিবারও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমেনি। সামনে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা।
তার ওপর উত্সবের মরশুম। ক্ষোভ তাই বাড়ছিল। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জয়নগরে। বিদ্যুত্ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন
স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিদ্যুতমন্ত্রীর বক্তব্য, ন্যাশনাল গ্রিড থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতও মিলছে না। কারণ অন্যান্য
রাজ্যেও কয়লার যোগান সমস্যায় উত্পাদনে বিশাল ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এ নিয়ে দিল্লিতে
গিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় বিদ্যুত্মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
First Published: Thursday, October 13, 2011, 16:55