Last Updated: June 25, 2012 14:55

আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আবেগঘন মুহূর্ত! রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইউপিএ জোটের প্রার্থী হওয়ার পর সংসদীয় রাজনীতির শিষ্টাচার মেনে দল ও সরকারের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এদিন সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তাই বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হল সাকিন কীর্ণাহারের বাঙালী নেতাকে।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে প্রবীণ রাজনীতিক প্রমব মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘ চার দশকের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে এদিন দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের অনেক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন প্রণববাবু। তাঁর অভাব বোধ করবে মন্ত্রিসভা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আঠাশে জুন রাষ্ট্রপতি পদে মননোয়নপত্র দাখিল করবেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তারপর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেবেন প্রণববাবু। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেন, দলের থেকে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি পদে মননোয়ন দাখিলের পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেবেন প্রণব। সেদিক দিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আজকের বৈঠক ছিল আবেগ আর রণকৌশলের যুগলবন্দি।
১৯৭৮ সালে প্রথম কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। সাধারণ নির্বাচনে জনতা পার্টির কাছে পরাজয়ে এবং অন্তর্দলীয় বিদ্রোহের জেরে সে সময় কার্যত নিসঙ্গ ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। বিশ্বস্ত যোদ্ধার মতোই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্রণব। তারপর থেকে বরাবরই দলের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মসমিতির ভরকেন্দ্রে থেকেছেন তিনি। নিয়েছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। দলের সঙ্কটে বারবার মিস্টার ডিপেন্ডেবল হয়ে উঠেছেন। আশির দশকের মাঝামাঝি কয়েকজন কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধীর কান ভাঙিয়ে তাঁকে দল থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু পরে ভুল বুঝতে পেরে ফের প্রণববাবুকে সসম্মানে ফিরিয়ে নেন তিনি। নরসীমহা রাওয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ও যোগ্যতা আর মেধার বলে দল ও সরকারের অপরিহার্য `অঙ্গ` হয়ে উঠেছিলেন প্রণববাবু। এবার রাইসিনা হিলের রেসে নেমে সেই বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানতে চলেছেন চলেছেন তিনি।
First Published: Monday, June 25, 2012, 14:55