Last Updated: December 6, 2013 19:48

লিখিত বক্তব্য ছিল কড়া। কিন্তু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তা বলার সময় সুর অনেকটাই নরম। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই কি এই পথ বেছে নিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়?
রাষ্ট্রপতির লিখিত ভাষণে ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখা আছে--
চলতি বিধানসভায় ২০১১ সালে ৩৩ দিন এবং ২০১২ সালে ৪১ দিন অধিবেশন হয়েছে। এত কম সময়ে প্রয়োজনীয় বিষয়ে যথেষ্ট আলোচনা সম্ভব নয়। প্রতিবছর কমপক্ষে ১০০ দিন বিধারসভার অধিবেশন বসা উচিত।
অথচ এই অংশটি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বললেনই না রাষ্ট্রপতি। বিধানসভা নয়, বক্তব্যের সময় আশঙ্কা প্রকাশ করলেন শুধু সংসদের অধিবেশনের দিন কমে যাওয়া নিয়ে। বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বারবার যে কোনও ব্যাপারে আলোচনার ওপরে জোর দিয়েছেন।
মুখে যা বললেন সেটা অনেকটাই নরম অথচ লিখিত বক্তব্যটি অনেক বেশি ধারাল। রাষ্ট্রপতির লিখিত ভাষণের ১৪ পৃষ্ঠাতেই লেখা আছে,
কিছু কিছু রাজ্যের অর্ডিনান্স জারি করে আইন প্রণয়নের প্রবণতা বাড়ছে। বহু রাজ্যই অত্যন্ত বিতর্কিত আইন বিধানসভায় বিল পেশ না করে, আলোচনা না করে অর্ডিনান্সের মাধ্যমে জারি করে দিচ্ছে। বিরোধীদের আলোচনা করতে না দেওয়ার এই প্রবণতা মারাত্মক।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রথম আইনটিই অর্ডিনান্সের মাধ্যমে পাস করানোর চেষ্টা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেটি ছিল সিঙ্গুর আইন। বিধানসভা চলাকালীনই অর্ডিনান্স জারি করে সরকার। তুমুল হইচই শুরু হয় তা নিয়ে। বিরোধীদের চাপে শেষপর্যন্ত অর্ডিনান্স নয়, বিধানসভায় পেশ হয় সিঙ্গুর বিল।
First Published: Friday, December 6, 2013, 19:48