Last Updated: December 29, 2012 20:07

শোক, ক্ষোভ একাকার হয়ে আছড়ে পড়ল কলকাতার বুকে। প্রতিবাদী কলকাতায় আজ শুধুই মোমবাতি, মিছিল, মোমবাতি-মিছিল। কখনও নীরবে, কখনও সোচ্চারে আরও একবার প্রতিবাদী হল শহর কলকাতা।
তেরো দিনের অদম্য লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মানলেন দিল্লির তরুণী। চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার এই ২৩-এর কন্যার লড়াইয়ের সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই সামিল ছিল সারা দেশ। সঙ্গে ছিল এ শহরও। গোটা রাজ্য। আজকেও তাঁর মৃত্যুর পর প্রতিবাদে পা মেলাল কলকাতা। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক মিছিল বার হয় আজ।
বামফ্রন্টের কলকাতা জেলা কমিটির উদ্যোগে শনিবার মিছিলে হাঁটেন মহম্মদ সেলিম, রবীন দেব অনাদি সাহু, মানব মুখোপাধ্যায় সহ শীর্ষস্তরের বহু নেতা।
ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিল শেষ হয় বিড়লা তারামণ্ডলের সামনে।
ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশ থেকে মৌনমিছিল করে গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
প্রতিবাদের ভাষা ছিল কালো ব্যাজ। সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে শেষ হয় মিছিল।
মৃত তরুণীর উদ্দেশ্যে শোকজ্ঞাপন করে মিছিল করে বিজেপি-র মহিলা মোর্চা। মোমবাতি মিছিল হয় কলেজ স্ট্রীট চত্বরে।
দিল্লির ঘটনার নিন্দায় এপিডিআর সহ একাধিক গণসংগঠনের ডাকে পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ।
কলেজ স্কোয়্যার থেকে মেট্রো চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রতীকী অবরোধও করেন মেট্রো চ্যানেলে।
কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল হয় এসএফআই-ডিওয়াইএফের পক্ষ থেকেও।
গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মিছিল করে এসইউসিআই। কলেজ স্কোয়্যারে শুরু হয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত যায় এই মিছিল।
পিছিয়ে ছিলেন না বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও। বিড়লা তারামণ্ডল থেকে মোমবাতি মিছিলে সামিল হয়েছিলেন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। নিউ আলিপুরে সারদা আশ্রম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও মোমবাতি হাতে মৌনমিছিল করে প্রতিবাদে অংশ নেন।প্রতিবাদ পৈশাচিক এক অপরাধের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভ অপরাধীদের দ্রুত ও কঠোরতম শাস্তির দাবিতে।
First Published: Saturday, December 29, 2012, 22:14