Last Updated: June 13, 2014 19:17

বিধানসভায় ফের প্রশ্নোত্তর পর্ব এড়িয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা দফতরগুলির কোনও প্রশ্ন রাখা হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, গত তিন বছর ধরেই চলছে এই পরম্পরা। কিছু লিখিত জবাব ছাড়া, গত তিন বছরে নিজের অধীনে থাকা দফতরগুলি নিয়ে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুহাজার এগারোয় পালাবদলের পর পেশ হয়েছে তিনটি বাজেট। এই তিনবছরে একাধিক ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে বিধানসভা। কিন্তু, কোনও অভিযোগ,কোনও বিতর্ক, কোনও প্রশ্নের জবাবের জন্যই পাওয়া যায়নি মুখ্যমন্ত্রীকে।
আইনসভার নিয়ম অনুসারে, কোনও দফতরকে নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব দিতে হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকেই। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
পালাবদলের আগে,বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য বৃহস্পতিবার দিনটি ধার্য ছিল
পালাবদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য দিনটি শুক্রবার করা হয়
বিরোধীদের অভিযোগ, এরপরেও লিখিত কয়েকটি জবাব ছাড়া অধিকাংশ প্রশ্নেরই উত্তর দেননি মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি বাজেট বিতর্কের ক্ষেত্রেও এই পরম্পরাই জারি থেকেছে বলে অভিযোগ।
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা দফতরগুলির বাজেট নিয়ে কখনই বিধানসভায় আলোচনা হয়নি
দুহাজার এগারোয় নতুন সরকারের প্রথম বাজেটে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের বাজেটগুলি পাঠানো হয়েছিল গিলোটিনে
পরবর্তী বছরগুলিতেও নিজের অধীনে থাকা দফতরগুলির বাজেট নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেননি মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিবারই শাসকদলের পক্ষে বলা হয় মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মসূচিতে জেলায় থাকায় অধিবেশনে থাকতে পারবেন না
কিছু ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের বাজেট নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
বাজেট ও প্রশ্নোত্তর পর্বে নীরব থাকলেও, গত তিনবছরে বিধানসভায় পুরোপুরি নীরব ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুর বিল, রাজ্যপালের বক্তব্যের জবাবি ভাষণ, অধিবেশন শেষে ধন্যবাদজ্ঞাপক ভাষণ, দিল্লি থেকে আর্থিক দাবিদাওয়া আদায় সহ একাধিক বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
First Published: Friday, June 13, 2014, 19:17