Last Updated: December 23, 2013 10:36

মুজফফরনগরের দাঙ্গা বিদ্ধস্ত মানুষদের ত্রাণ শিবিরে কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর হঠাৎ উপস্থিতি তৈরি করল রাজনৈতিক বিতর্ক। চলতি বছরের অগাস্টে ২৭ তারিখ উত্তরপ্রদেশের ভয়াবহ দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। গৃহহীন অবস্থায় এখনও ত্রাণ শিবিরে কোনওরকমে দিনগুজরান করছেন অনেকে। সেই ত্রাণশিবির পরিদর্শনে এসে শিবিরগুলির অবস্থা শোচনীয় বলে বর্ণনা করলেন রাহুল। রাহুল জানিয়েছেন ``শিবির গুলির অবস্থা শোচনীয়, শিশুরা মারা যাচ্ছে এখানে। যেখানেই আমি গিয়েছি সেখানেই মানুষ আমাকে জানিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কোনও শত্রুতা নেই। তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চান। ত্রাণ শিবিরের মানুষরা দাবি করেছেন এই রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই এই দাঙ্গা সংগঠিত করা হয়েছে।``
সোনিয়া পুত্রের মতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের উচিৎ দাঙ্গা বিদ্ধস্ত জেলা গুলিতে স্বাভাবিকত্ব আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানো। রবিবার সকালে রাহুল মালাকপুর, ভারনাউ, বারনালি, আকবরপুর, সুনেটু আর কাকদা গ্রামের ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শণ করেন। কথা বলেন সেখানকার মানুষদের সঙ্গে।
শুধু ত্রাণ শিবির গুলির খারাপ অবস্থা বর্ণনা করেই ক্ষান্ত হননি রাহুল। পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিল যাদবকেও। সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই ঘোষণা করেও তিনি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের উচিৎ ত্রাণ শিবিরগুলিতে আরও ভাল করে নজর দেওয়া। আর তাতেই গোঁসা হয়েছে মুলায়ম পুত্রের। পরিষ্কার জানিয়েছেন ``ঠিকঠাক পরামর্শ পেলে আমরা কাজ করতে রাজি, কিন্তু ওরা যদি এনিয়ে রাজনীতি করতে চায় তাহলে সেটা ওদের ব্যাপার।``
রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই কি রাহুল ত্রাণ শিবির গুলোয় হঠাৎ পরিদর্শনে এলেন? এ প্রশ্নের জবাবে অখিলেশ বলেছেন এটা মিডিয়ার উপরই নির্ভর করছে তারা কীভাবে এই পরিদর্শনকে ব্যাখা করবে।
First Published: Monday, December 23, 2013, 10:36