Last Updated: November 26, 2011 17:49

বিধানসভা ভোটের ছ`মাস আগে থেকেই ক্রমশ উত্বপ্ত হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি! আর সেই সঙ্গেই তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে বার বার বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের আক্রমণের নিশানায় চলে আসছে কংগ্রেসের `যুবরাজ` রাহুল গান্ধীর নাম।
এদিন খুচরো বিপণনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে তীব্র ভাষায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। সরাসরি আমেঠির কংগ্রেস সাংসদের নাম করে বিএসপি সুপ্রিমোর অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর `বিদেশি মিত্রদের` সন্তুষ্ট করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনমোহন সরকার।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে মাল্টিব্র্যান্ড খুচরো বিপণনের ক্ষেত্রে ৫১ শতাংশ এবং সিঙ্গল ব্র্যান্ড খুচরো বিপণনের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র
দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপি এবং বাম দলগুলির পাশাপাশি ইউপিএ-র শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। উত্তাল হয়েছে সংসদ। কিন্তু ব্যক্তি রাহুলকে আক্রমণ করা হয়নি।

এদিন খুচরো বিপণনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগবৃদ্ধির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের জন্য সোনিয়া-তনয়কে নিশানা করে বহেনজি বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসকেই মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করছেন তিনি।
অন্য দিকে এদিন পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলার পাড্রাউনায় রাহুল গান্ধীর জনসভায় বিক্ষোভ দেখায় সমাজবাদী পার্টির যুব শাখার কর্মীরা। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে তাঁকে কালো পতাকা দেখানোরও চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনা ঘিরে মুলায়ম সিং যাদবের দলের কর্মীদের সঙ্গে জনসভায় উপস্থিত কংগ্রেস সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর এলাহাবাদের অনিতদূরে ফুলপুরে রাহুল গান্ধীর জনসভায় একই কায়দায় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির কর্মীরা।
First Published: Saturday, November 26, 2011, 18:00