Last Updated: January 19, 2014 21:23
রেলে কাজ। গ্রুপ ডি স্টাফের চাকরি। পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, ডাক্তারি পরীক্ষা কিছুরই প্রয়োজন নেই। শুধু মিষ্টি খেতে দিতে হবে কুড়ি হাজার টাকা। বছর দুয়েক আগে বেলঘরিয়ার তাপস বসুর কাছে এমনই প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন পাড়ারই ছেলে জনৈক খোকন দে।
পূর্ব রেলের লেডার হেডে, নির্দিষ্ট মেমো নম্বরে, ২০১২ সালের ২৬ মে নিয়োগপত্র এসেছিল তাপস বসুর কাছে। কোন পদে নিয়োগ, বেতন কত, সবই নির্দিষ্ট লেখা ছিল সেই নিয়োগপত্র। হুবহু আসলের মতোই। চিঠির নিচে স্বাক্ষর ও স্ট্যাম্প ছিল চিফ পার্সোনেল অফিসার এন স্বামীনাথনের। যদিও, সে স্বাক্ষর আসল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে চিঠিটা যে নকল তা বুঝতে পারেছেন তাপস বসু। কারণ চাকরি এখনও পাননি তিনি।
পাড়ার ছেলে খোকন দে-র পরামর্শ মতো কাগজপত্র ও টাকা দিয়েছিলেন তাপস দাস। নির্দিষ্ট সময় রেলের অফিস থেকে নিয়োগপত্রও আসে।
চমকে ওঠার এখনও বাকি। তাপস বসু জানিয়েছেন, রেলের গ্রুপ ডি পদে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিয়ালদহের ডিআরএম অফিসে। স্বাক্ষর করানো হয় একটি রেজিস্টারে।
তারপর কী হয়েছে। তাপস বসু স্বাভাবিকভাবেই চাকরি পাননি। নিমতা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও সুবিচার পাননি তিনি।
তাপস বসুর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়েছিলেন চব্বিশ ঘণ্টার প্রতিনিধি। ডিআরএম অফিসের ভিতর থেকে বেরিয়ে এলেন জনৈক রেলকর্মী। নিজেকে জয়ন্ত বিশ্বাস পরিচয় দিয়ে, তিনি যা বললেন, তাতে স্পষ্ট টাকা নেওয়ার কথা। তাপস বসু নির্দিষ্ট সময়েই চাকরি পাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ওই রেল আধিকারিক।
First Published: Sunday, January 19, 2014, 21:23