নাটকের তুঙ্গে থেকে ভোট হল রাজ্যসভায়, কী চলল দিনভর?

নাটকের তুঙ্গে থেকে ভোট হল রাজ্যসভায়, কী চলল দিনভর?

নাটকের তুঙ্গে থেকে ভোট হল রাজ্যসভায়, কী চলল দিনভর? তৃণমূলের চার, বামেদের এক। দিনভর নাটকের পর এই পাঁচ সাংসদ এরাজ্য থেকে নির্বাচিত হলেন রাজ্যসভায়। চতুর্থ প্রার্থীকে জেতাতে শাসক দল কতজন বিরোধী বিধায়ককে শেষপর্যন্ত ভাঙিয়ে আনতে পারে, এ নিয়ে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। সবমিলিয়ে বহুদিন পর এত জমজমাট রাজ্যসভার ভোট দেখল রাজ্য। বিরোধীদের দল ভাঙিয়ে শাসক দলের প্রার্থীর জয়, ক্রস ভোটিং, বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ-- শুক্রবার দিনভর বিধানসভায় চলেছে একের পর এক নাটক।

সকাল ৮ টা

ভোটগ্রহণ সকাল ৯ টা থেকে শুরু হলেও ৮ টা থেকেই বিধায়কদের লম্বা লাইন পড়ে যায়।

সকাল ৯ টা

শাসকদলের টার্গেট ছিল প্রথমেই দল ভাঙিয়ে আনা বিধায়কদের ভোট করিয়ে নেওয়া। সেইমতো জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিমরা নিজেরা সঙ্গে গিয়ে ভোট দেওয়ান তিন বাম বিধায়ককে। ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক সুনীল মণ্ডল, আরএসপি বিধায়ক অনন্ত দেব অধিকারী এবং আরএসপি বিধায়ক দশরথ তিরকে তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন। মিঠুন চক্রবর্তী, যোগেন চৌধুরী এবং কে ডি সিংয়ের জয় নিয়ে কখনই কোনও অনিশ্চয়তা ছিল না। দলের চতুর্থ প্রার্থী আহমেদ হাসানের জয় নিশ্চিত করতে তত্‍পরতা তুঙ্গে ছিল তৃণমূল শিবিরে।

এ দিন বিধানসভার ফ্লোরে তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার হিসেবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিমদের দেখা গেলেও, পর্দার পিছনে মূল কাণ্ডারী ছিলেন মুকুল রায়। সকাল ৯ টা থেকে বিধানসভায় ঘাঁটি গাড়েন তিনি। দল ভাঙিয়ে আনা বিধায়কদের কোথায় রাখা হবে, তাঁরা কখন ভোট দেবেন, সব কাজ চলেছে তাঁরই নির্দেশে।

দল ভেঙে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়া বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিধানসভার মধ্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাম শিবিরের একাংশ।

সকাল সাড়ে ৯টা

গাজোলের কংগ্রেস বিধায়ক সুশীল রায়, সুতির কংগ্রেস বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসকে নিয়ে ভোট দেওয়াতে যান ফিরহাদ হাকিম।

সকাল সাড়ে ১ ০ টা
কংগ্রেস বিধায়ক আবু নাসের খান চৌধুরীকে কার্যত ঘেরাও করে নিয়ে বিধানসভায় ঢোকেন কংগ্রেস বিধায়করা। সেই অবস্থাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের ঘরে। আবু নাসের খান চৌধুরী তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেবেন, এমন কথা আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। এদিন তিনি কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিলেও পরে জানা যায়, ব্যালটের পিছনে সই করেছেন। তাঁর ভোট বাতিল হয়ে যাবে কিনা এনিয়ে জল্পনা চলে দিনভর। শেষপর্যন্ত তাই হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই এ কাজ করেছেন সুজাপুরের বিধায়ক।

দুপুর ১ ২টা
কিছুক্ষণের জন্য বিধানসভায় আসেন মিঠুন চক্রবর্তী।

দুপুর ২:৩০

ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রী।

দুপুর পৌনে ৩ টে

ভোট দিতে বিধানসভায় আসেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শিখা মিত্র। বিক্ষুব্ধ বিধায়ক নিজের ভোটটি দেন কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থীকে। ভোট চলাকালীনই স্পষ্ট হয়ে যায় , কোন প্রার্থীরা জয়ী হবেন।

চারটে থেকে শুরু হয় গণনা। দিনের শেষে রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে খালি হওয়া পাঁচটি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে গেল চারটি এবং বামেরা পেল একটি।

First Published: Friday, February 7, 2014, 21:35


comments powered by Disqus