রামপুরহাট কাণ্ডে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করল পুলিশ

রামপুরহাট কাণ্ডে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করল পুলিশ

রামপুরহাট কাণ্ডে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করল পুলিশরামপুরহাট কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনায় ৭ জনকে সনাক্ত করল পুলিস। কলেজের রেজিস্টারের ছবির সঙ্গে মিডিয়ায় প্রচারিত ছবি মিলিয়ে ওই ৭ জনকে সনাক্ত করা হয়। অভিযোগ, ৭ ছাত্রের মধ্যে এক জনের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সেই কারণে ওই ছাত্রের নাম অভিযুক্তের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য চাপ আসছে বলে অভিযোগ।

গত ১১ জানুয়ারি টিএমসিপি সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হন রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্ঞান হারান অধ্যক্ষ। চিকিত্সার জন্য তাঁকে হাপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এঘটনায়  টিএমসিপি-র  বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন অধ্যক্ষ। নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ জানাননি। পুলিসও ঘটনার পৃথক কোনও তদন্ত করেনি। অধ্যক্ষের করা অভিযোগটিই আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আদালতে সম্পূর্ণ তথ্যও দেওয়া হয়নি। গত সোমবার টিএমসিপির সাত সদস্য আত্মসমর্পণ করেন। পুলিস কেন আলাদাভাবে কোনও তদন্ত করল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। ওই সাত ছাত্রকে ছেড়ে দিয়ে পুলিসকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে সময় লাগবে বলে জানায় পুলিস। এরপর পুলিস মঙ্গলবার কলেজের রেজিস্টারের ছবি মিলিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদের সনাক্তকরণের কাজ শুরু করে। বুধবার পর্যন্ত সাত জন ছাত্রকে সনাক্ত করেছে পুলিস।
রামপুরহাট কলেজেরই বিএ দ্বিতীয় বর্ষের মৃণাল মুখার্জি, অমিত ঘোষাল, মুখলাল শেঠ, রবিউল ইসলাম, তৃতীয় বর্ষের রহিম শেখ, এবং প্রথম বর্ষের আকাশ শেখ ও ইন্দ্রনীল মুখার্জিকে সনাক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ,  তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে ইন্দ্রনীলের নাম তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ আসছে পুলিসের কাছে। এবিষয়ে যদিও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।  







First Published: Thursday, January 19, 2012, 08:36


comments powered by Disqus