ধর্ষণের পরে খুনের চেষ্টা শিলিগুড়িতে, আশঙ্কাজনক নিগৃহীতা

ধর্ষণের পরে খুনের চেষ্টা শিলিগুড়িতে, আশঙ্কাজনক নিগৃহীতা

ধর্ষণের পরে খুনের চেষ্টা শিলিগুড়িতে, আশঙ্কাজনক নিগৃহীতা দিল্লির পর এবার দার্জিলিং। ফের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। তবে এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণের পর তরুণীকে খুন করার জন্য, তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সারা শরীরে পোড়ার ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। বাগডোগরা থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক।   

দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় সরগরম সারা দেশ। তার মধ্যেই ফের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গে। শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরার একটি বস্তিতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর  সন্ধে সাতটায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু তারপরই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরের দিন অর্থাত্ ১৫ ডিসেম্বর বস্তিরই অন্য একটি ঘর থেকে লোকজন চিত্কার শুনতে পান। তাঁরা গিয়ে দেখেন, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তরুণী দাউদাউ করে জ্বলছেন। কোনওমতে উদ্ধার করে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই তরুণীর শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। হাসপাতালে শুয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। যে বাড়ি থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়, সেই বাড়িটি তাঁর নিজের বাড়ি থেকে কয়েকটি বাড়ি পরেই। তরুণী অভিযোগ জানিয়েছেন, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধেয় এক যুবক তাঁকে জোর করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ভোরে জ্ঞান ফেরার পর তরুণী পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যুবকটি তা দেখে ফেলে এবং তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। 

এই ঘটনায় বাগডোগরা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিত্সক এবং পুলিস ক্যামেরার সামনে কেউই মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু সূত্রের খবর, তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্টে চারজন মিলে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। যদিও তরুণী নিজে একজন যুবকের কথাই বলেছেন। মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়ার কারণেই, ঘটনার সময় একাধিক লোকের উপস্থিতি তিনি টের পাননি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক কয়েকদিন আগেই ওই বস্তিতে আশ্রয় নেয়। তারপর থেকে ওখানেই বসবাস করছিল সে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস।

First Published: Wednesday, December 19, 2012, 11:42


comments powered by Disqus