Last Updated: December 12, 2012 22:12

"রবিই প্রথমজন যিনি আমাকে মুগ্ধ করার কোনও চেষ্টাই করেননি বরং আমিই ওনাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম"। মার্টিন স্কোর্সের তথ্যচিত্র জর্জ হ্যারিসন: `লিভিং ইন দ্য মেটিরিাল ওয়ার্ল্ডে` রবিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাতের কথা এভাবেই জানিয়েছেন বিটলস সম্রাট জর্জ হ্যারিসন।
প্রথম সেই ঐতিহাসিক সাক্ষাত শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্বেই পরিণত হয়নি, রবিশঙ্করের মাধ্যমেই হ্যারিসন পরিচিত হন ভারতীয় দর্শনের সঙ্গে। যা পরবর্তীকালে তাঁর জীবনে অনেক পরিবর্তন এনছিল। "রবির সঙ্গে জর্জের সাক্ষাত শুধু দু`জন পৃথক মানুষের সাক্ষাত ছিল না, দুটো পৃথক সংস্কৃতির সাক্ষাত ঘটেছিল সেদিন"। গতবছর স্কোর্সের তথ্যচিত্র প্রদশর্নীর সময় বলেছিলেন জর্জের স্ত্রী অলিভিয়া হ্যারিসন। সেই তথ্যচিত্রে কিছুটা অংশ জুড়েও স্থান পেয়েছিলেন রবিশঙ্কর।
১৯৬৬ সালে লন্ডনে প্রথম দেখা হয় দুই মহীরুহর। রবিশঙ্করের সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ জর্জ ভারতে এসেছিলেন শুধুমাত্র তাঁর কাছে সেতার শিখবেন বলেই। রবিশঙ্কর শুধু তাঁকে সেতারই শেখাননি তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনকেও প্রভাবিত করেছিলেন। জর্জের সঙ্গে রবিশঙ্করের যোগাযোগ আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর জনপ্রিয়তাকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছিল। বিশ্বের দরবারে ভারতীয় সঙ্গীতকে উচ্চাসনে বসিয়ে দেয়। ১৯৬৭ সালে মনটেরে পপ ফেস্টিভ্যালে টানা ৪ ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন রবিশঙ্কর। ১৯৬৯ সালে উডস্টক ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে বাজান কনসার্ট ফর বাংলাদেশে।
জর্জ হ্যারিসেনর প্রচুর গানেই পাওয়া গেছে ভারতীয় সঙ্গীতের ছোঁয়া। বিটলসের ৩টি অ্যালবামে সেতারের ব্যবহার করেছিলেন জর্জ। `রাবার সোল`, `রিভলভার` ও `লোনলি হার্টস ক্লাব ব্যান্ড` ৩ টি অ্যালবামে পাওয়া যায় সেতারের মূর্ছনা।
First Published: Wednesday, December 12, 2012, 22:12