Last Updated: January 23, 2012 14:59

বছর কয়েক আগের কথা। বিজেপির সবর্ভারতীয় সভাপতি হিসেবে নিজের ছেলে পঙ্কজকে অখিল ভারতীয় যুব মোর্চার উত্তরপ্রদেশ শাখার সভাপতির পদ পাইয়ে দিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। কিন্তু পরিণতি সুখের হয়নি। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের প্রবল বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিলেন রাজনাথ। পদ পাওয়ার দিন কয়েকের মধ্যেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন পঙ্কজ। এবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার মুখে প্রভাবশালী ঠাকুর নেতার পুত্রস্নেহ একই ধরনের রাজনৈতিক অস্বস্তির মধ্যে ঠেলে দিল বিজেপিকে।
সম্প্রতি ১১ অশোক রোডের তরফে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে পঙ্কজ সিংকে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটের মুখে টিম গডকড়ির এই পদক্ষেপ ঘিরে গোবলয়ের হৃদয়পুরে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ প্রকট হয়ে উঠেছে। এদিন রাজনাথ পুত্রকে সাধারণ সম্পাদক করার দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির তিন সম্পাদক- দয়াশঙ্কর সিং, সন্তোষ সিং এবং অশ্বিনী ত্যাগী পদত্যাগ করেছেন। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সভাপতি সূর্যপ্রতাপ শাহীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, দলের প্রতি অবদান, বয়স এবং সাংগঠনিক অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে থাকা পঙ্কজকে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক পদে বসানোর প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে বিদ্রোহী শিবিরের অভিযোগ, দলীয় সংবিধান অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশ রাজ্য কমিটিতে সর্বোচ্চ ৬ জন সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু পঙ্কজকে সপ্তম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
অতীতে রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন কল্যান সিংয়ের মতো বরিষ্ঠ নেতা। বিধানসভা ভোটের আগে টিকিট বিলি নিয়ে কলরাজ মিশ্র, লালজি ট্যান্ডন, কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর মতো প্রবীণরা যথেষ্টি ক্ষুব্ধ বলে বিজেপির অন্দরমহলের খবর। মধ্যপ্রদেশ থেকে উমা ভারতীকে এনে বিধানসভা ভোটের মনোনয়ন দেওয়া বা বাবু সিং কুশওয়া, বাদশা সিং-এর মতো বিএসপি থেকে বহিষ্কৃত দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের দলে নেওয়ার বিষয়টি ঘিরেও `পদ্ম` শিবিরের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে পঙ্কজ সিংয়ের পদপ্রাপ্তি ঘিরে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিদ্রোহ দলের নির্বাচনী সম্ভাবনা আরও অনিশ্চত করে তুলল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
First Published: Monday, January 23, 2012, 15:06