Last Updated: March 4, 2014 22:36

---------------------------------------------
অবস্থানে অনড় থেকেও ইউক্রেনে সেনা প্রবেশে আপাতত লাগাম টানল রাশিয়া। ক্রিমিয়ায় ঢুকলেও ইউক্রেনে আর সেনা পাঠাচ্ছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপকে যে তিনি কোনও গুরুত্বই দিচ্ছেন না, তাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।
পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। হু-হু করে সেনা ঢুকিয়ে কার্যত ক্রিমিয়ার দখল নিয়ে নিয়েছে রুশ সেনা। কিন্তু, এতদিন ইউক্রেন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি রুশ প্রেসিডেন্ট। মুখ খুললেন মঙ্গলবার। আর তাতেই বুঝিয়ে দিলেন ক্রিমিয়া নিয়ে নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না তিনি। তবে, ইউক্রেনে এই মুহূর্তে আর নতুন করে সেনা ঢোকাবে না রাশিয়া। কিন্তু, কেন এই হঠাত লাগাম? আন্তর্জাতিক চাপকে কি সমঝে চলতে শুরু করল মস্কো?
সেই সম্ভাবনাকে পুরোপুরি উড়িয়েই দিয়েছেন পুতিন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, জি এইট বয়কট বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কাই করেন না তিনি। কারণ, ইউরোপের অর্থনীতি অনেকটাই রাশিয়া নির্ভর। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতেও দ্বিধা করেননি পুতিন। ইরাক, আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে ওয়াশিংটনকে তুলোধোনা করেছেন তিনি। এদিকে, সেনা সংখ্যায় নগন্য হওয়ায় কার্যত কুঁকড়ে রয়েছে ইউক্রেন। সেনাকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।
কিন্তু, রাশিয়ার তরফ থেকে প্ররোচনা যে আসতেই পারে, সেটা ইতিমধ্যেই আন্দাজ করতে পেরেছে নেটো। সেবাস্টোপোলে চলতে শুরু করেছে গুলি। তাই ইউক্রেনকে সাবধান করে দিয়েছে তারা। আগ বাড়িয়ে আক্রমণের পথ এড়িয়ে চলারই পরামর্শ দিয়েছে নেটো। আর রুশ প্রেসিডেন্ট বলছেন, যেভাবে ইউক্রেনে নতুন সরকার এসেছে, তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক। সেনা অভ্যুত্থান করে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে সরানো হয়েছে। তাই, রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্রিমিয়া থেকে সেনা না সরানোর পক্ষেই সওয়াল করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষীদের স্বার্থ যাতে কোনওভাবেই ক্ষুন্ন না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখবে মস্কো।
First Published: Tuesday, March 4, 2014, 22:39