Last Updated: March 19, 2014 23:49

ক্রিমিয়ার সেবাস্তোপোলে ইউক্রেনের নৌসেনা ঘাঁটির দখল নিল সশস্ত্র রুশপন্থীরা। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। ইউক্রেনের অফিসারেরা ঘাঁটি ছেড়ে গেলেও আটক করা হয়েছে নৌ-প্রধানকে। পরে অবশ্য রুশ নিরাপত্তা সংস্থা আধিকারিকেরা নৌ-প্রধানকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান বলে অন্য একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে।আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রক্তচক্ষু সত্বেও অনড় রাশিয়া। মঙ্গলবার ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অঙ্গরাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মস্কো। এবারে দখল হল ক্রিমিয়ায় থাকা ইউক্রেনে নৌ- সেনা ঘাঁটিও। বুধবার সেবাস্তোপোলের নৌসেনা ঘাঁটির দখল নেয় সশস্ত্র রুশপন্থীরা।
প্রায় দুশো জন রুশপন্থী নৌ-ঘাঁটির গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নৌ-সেনা অনেক আধিকারিক ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে চলে যান। কিন্তু ইউক্রেনের নৌ-প্রধান সেরহি হায়ডুককে আটক করে রুশপন্থীরা। পরে রুশ নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি নৌ-প্রধানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয় বলে খবর। গণভোটের পর মঙ্গলবারই ক্রিমিয়াকে অঙ্গরাজ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে ক্রিমিয়া সম্পর্কে তাঁর নীতিও স্পষ্ট করেছেন পুতিন।
এরপরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি দখলদারির অভিযোগ তোলে হোয়াইট হাউস। আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারির হুঁশিয়ারি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নও। তবে এসব হুঁশিয়ারিতে যে তারা আমল দিতে নারাজ বারবারই তা বুঝিয়ে দিচ্ছে পুতিনের রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে বুধবার নৌসেনা ঘাঁটি দখলের ঘটনা নতুন করে জটিলতা তৈরি করবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
First Published: Wednesday, March 19, 2014, 23:49