Last Updated: January 7, 2013 16:42

ভারতের ৫৫২ টি লোকসভা নির্বাচনী কেন্দ্র। যদি বলে এই সবকটি কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার এলেম রাখে এমন একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম বলুন? জবাবটা বোধায় একটাই। সচিন তেন্দুলকর। রাজনৈতিক করিশ্মা, নাকি ক্রিকেটের বল্লেবাজি? জীবনের ২৩ গজে উজ্জ্বল সাক্ষর রেখেছেন সদ্য একদিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানানো এই ক্রিকেট কিংবদন্তি।
গত বছর ৪ জুন রাজ্যসভায় শপথ নিয়ে জীবনের এক নতুন ইনিংস শুরু করেন মাস্টার ব্লাস্টার। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, রাজনীতির পচা খাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে গঙ্গা হাত ধুতে ব্যস্ত যখন সাওমাজের প্রথম সাড়ির মানুষেরা। সেই সময় সচিনের মতো `ইন্ডিয়া আইকনের` রাজনীতির আঙিনায় পা রাখাটা কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? গত কয়েক বছরে ভারতীয় রাজনীতির গতি প্রকৃতির দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে বহর বদেলেছে তার। শুধু ভোটদানে ক্ষান্ত থেকে প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতিতে আর মন উঠছে না ভারতবাসীর। রাজনেতাদের দুর্নীতি কিংবা অসহিষ্ণুতা। গড়ম চায়ের কড়চায় থেকে থাকতে চাইছে না ভোটদানকারিরা। যার ফলে বারে বারে ক্ষোভ উগড়ে দিতে রাস্তায় নামছে আজ জনতা। সে আন্নার দূর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের জাতীয়তাবাদী ব্যানারই হোক, কিংবা দিল্লি এক তরুনীর সঙ্গে পাশবিক নির্যাতনই হোক বারে বারে পথেই প্রতিবাদের ভাষা জাহির করেছে মানুষ। একে তাত্ত্বিকরা `ডাইরেক্ট ডেমোক্রেসি` বলে দিলেই। সব তর্ক শেষ হয়ে যায় না। যেমন শেষ হয় না, সচিনের সাংসদ হওয়ার যৌক্তিকতাও।
যদিও গত কয়েক মাসে সাউথ ব্লকে বারকয়েকই দেখা গিয়েছে তাঁকে। সংসদের আর পাঁচ জনের মতো ঘন ঘন বাইট দেওয়া থেকেও বিরত থেকেছেন সচিন। চিরকালই ক্রিকেট অন্ত প্রাণ এই `ভগবানের` ভারতীয় ক্রীড়া জগতের প্রতি নিষ্টাঠা প্রকাশ হয়ে যায় শুধু একটা বাইটে। "শুধু ক্রিকেট নয় ভারতীয় ক্রীড়ার উন্নতিতে কিছু কাজ করতে পারলেই সাংসদ হিসাবে আমি সার্থক হব।"
First Published: Monday, January 7, 2013, 16:42