Last Updated: April 18, 2012 09:41

সৌন্দর্যায়নের নামে পুরুলিয়ার সাহেববাঁধের একটা অংশ বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠল। জেলা প্রশাসনের তরফে এই অভিযোগ কার্যত স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অবশ্য প্রশাসনের যুক্তি এটা সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পেরই অঙ্গ। যদিও তা মানতে নারাজ পরিবেশপ্রেমীরা। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
পূর্বতন সরকারের আমলেই সাহেব বাঁধকে জাতীয় সরোবরের শিরোপা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই সরোবরের সৌন্দর্যায়নের জন্য বরাদ্দ হয় বারো কোটি টাকা। কয়েকমাস আগে শুরু হয়েছে কাজ। আর তাতেই সরোবরের একটা বড় অংশ ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে। সরোবর বুজিয়ে ফেলার অভিযোগকে সামনে রেখে আন্দোলনে নেমেছে জেলা সিপিআইএম।
১৮৪৩ সালে খনন করা এই সরোবরের আয়তন একসময় ছিল প্রায় ৭০ বিঘা। আজ তার অনেকটাই বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। সৌন্দর্যায়নের নামে জলাশয়টি আরও ছোট হয়ে গেলে আগামিদিনে সেটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা পরিবেশপ্রেমীদের। ফি বছর শীতকালে না বিরল পরিযায়ী পাখির আবাস হয়ে ওঠে এই সাহেববাঁধ। কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন তামিলনাড়ু-স্থিত গবেষণাসংস্থা `সালিম আলি সেন্টার ফর অর্নিথোলজি`র তরফে নিয়মিতভাবে পরিযায়ী পাখি সুমারির কাজ হয় পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠের এই জলাশয়ে।
First Published: Wednesday, April 18, 2012, 09:41