Last Updated: November 19, 2011 18:58

শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লেন সাইফ আল-ইসলাম! শনিবার লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের ওবারি শহরের নিকটবর্তী মরুভূমি থেকে কয়েকজন দেহরক্ষী-সহ মুয়াম্ময় গদ্দাফির মেজ ছেলেকে আটক করে ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এনটিসি)-এর যোদ্ধারা।
লিবিয়ার ক্ষমতাসীন এনটিসি জোটের বাহিনী জিনতান ব্রিগেডের এক কমান্ডার সাংবাদিকদের বলেন, নিজের অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশ নাইজারে পাঠানোর চেষ্টা চালানোর সময় সাইফ আল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে এনিটিসির নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিচারমন্ত্রী মোহাম্মেদ আল-আল্লাগুই মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে জানান, ৩৯ বছর বয়সী সাইফ অক্ষত এবং সুস্থ রয়েছেন।
গদ্দাফির জমানায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সাইফের। মেজ ছেলে সাইফকেই নিজের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন গদ্দাফি। এর আগে লিবিয়ায় হামলা চলাকালীন একাধিকবার সইফের ধরা পড়ার খবর সামনে এলেও তাঁকে শেষ পর্যন্ত অধরা থেকে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বিদ্রোহীদের হাতে গদ্দাফি মারা যাওয়ার পর থেকেই নাকি গোপন আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণ করার জন্য যোগাযোগ করছিলেন সাইফ। লিবিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন সাইফের নাম।
গত ২০ অক্টোবর নিজের জন্মশহর সির্তেয় এনটিসি যোদ্ধাদের হাতে নিহত হন লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যূত সামরিক একনায়ক কর্নেল মুয়াম্মর আল গদ্দাফি। গদ্দাফির সঙ্গেই মারা যান তাঁর ছেলে মুতাস্সিম এবং তাঁর সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আবু বকর ইউনিস। এর আগে লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ন্যাটো বাহিনীর বিমান হানায় মারা যান গদ্দাফির দুই ছেলে সাইফ আল-আরব এবং খামিস। বড় ছেল মুহাম্মদ গদ্দাফি আলজিরিয়ায় এবং আর এক ছেলে আল সাদি নাইজারে আশ্রয় পেয়েছেন। আর এক ছেলে আব্দুল্লাহ হানিবল এখনও পলাতক।
First Published: Saturday, November 19, 2011, 22:49