Last Updated: October 31, 2012 09:27

হ্যারিকেন স্যান্ডির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে আমেরিকার পূর্ব উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ের কারণে এখনও পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে নিউ ইয়র্কেই মারা গিয়েছেন ১৮ জন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীর যাবতীয় লেনদেন বন্ধ। বন্ধ রাষ্ট্রসংঘের অফিস। জলমগ্ন নিউ ইয়র্কের ভূগর্ভস্থ রেল ব্যবস্থা। বন্ধ শহরের তিনটি প্রধান বিমানবন্দর। দেশজুড়ে বাতিল হয়েছে দেড়হাজার উড়ান।
জলমগ্ন রাজধানী ওয়াশিংটনও। বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া, বোস্টনে চলছে দুর্যোগ। বিদ্যুত্হীন পূর্ব আমেরিকার ১২টি প্রদেশ। উপকূলবর্তী এলাকায় বহু জাগয়ায় রেললাইন ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সমুদ্রের ঢেউ। তছনছ হয়ে গিয়েছে, নিউ জার্সি ও পশ্চিম ভার্জিনিয়ার বহু এলাকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শক্তি কমলেও যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে এই দুর্যোগ বয়ে যাবে সেখানেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। স্যান্ডির প্রকোপে বহু প্রাণহানির ঘটনাকে হৃদয় বিদারক বলে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে স্যান্ডির বর্তমান অভিমুখ ক্রমশ পশ্চিমের দিকে। যার গতিপথে পড়ছে শিকাগো। স্যান্ডির হাত থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের মিশিগান হ্রদের তীর থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে শিকাগো প্রশাসন। স্যান্ডির প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি চলছে কানাডাতেও। বিদ্যুতহীন সেদেশের প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার পরিবার।
হ্যারিকেন স্যান্ডির প্রভাবে অকাশ তুষারপাত শুরু হল আমেরিকার টেনেসি ও উত্তর ক্যারোলিনা প্রদেশে। সোমবার রাত থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে ব্যাপক তুষারপাত। গাছপালা, বাড়িঘর থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট। সবকিছুই ঢেকে গেছে সাদা তুষারের চাদরে। এর জেরে পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। বিপর্যস্ত জনজীবন। নিকটবর্তী স্মোকি মাউন্টেন এলাকায় শীতকালীন ঝড়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে সাবধান করে দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিনে এখানে তুষারপাত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এই তুষারপাত ঋতুচক্রে পাকাপাকি পরিবর্তন নাকি সাময়িক ঘটনা, তা এখনও বুঝতে পারছেন না তাঁরা। এই তুষারপাতের ফলে শীত এগিয়ে এলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
First Published: Wednesday, October 31, 2012, 09:27