Last Updated: May 16, 2013 22:59

খলনায়ক থেকে মুন্নাভাই। দীর্ঘ ২০ বছরে বদলে গেছে অনেক কিছু। কখনও ভাইগিরি, কখনও গান্ধীগিরি। এইভাবেই এতদিন জীবন কাটিয়েছেন সঞ্জুবাবা। কিন্তু অবশেষে কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি তিনি। ১৬ মে ২০১৩-র রাত থেকে আগামী সাড়ে তিন বছর গরাদের পিছনে কাটবে তাঁর। মেনে চলতে হবে জেলের সব নিয়মকানুন। কেমন হবে তাঁর রোজকার জীবন?
থাকার জায়গা- নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে এখন থেকে জেলের ১০ ফুট বাই ১৫ ফুট কুঠুরিতে থাকবেন মুন্নাভাই।
পোশাক- ডিজাইনার পোশাক নয় আর। সাধারণ কয়েদিদের পোশাকেই সাড়ে তিন বছর কাটাতে হবে তাঁকে। গলার চেন, আংটি, ব্রেসলেট জমা থাকবে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে।
দিন- জেলের বাকি সব কয়েদিদের সঙ্গেই সকাল ৭টায় দিন শুরু হবে সঞ্জয়ের। লেট নাইট পার্টি ভুলে গিয়ে শুয়ে পড়তে হবে রাত ৯টার মধ্যে।
খাবার-সকাল ৫টায় চা, বিস্কুট, উপমা। দুপুর ১২টায় ভাত, ডাল, রুটি, তরকারি। বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে রাতের খাবার। বছরে মাত্র ৩ থেকে ৪ বার খেতে পারবেন আমিষ খাবার। খারিজ হয়ে গিয়েছে ধুমপানের আর্জিও।
কাজ- জেলে রান্নাঘরে কাজ করার ভার পড়েছে সঞ্জয়ের ওপর। প্রতিদিনের মজুরি ২৫ থেকে ৫০ টাকা। জেল ছাড়ার সময় সেই টাকা তাঁর হাতে তুলে দেবে জেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও পরিবারের কাছ থেকে ১৫০০টাকা পেতে পারেন সঞ্জয়।
পরিবারের ৫জন সদস্যের সঙ্গে মাসে মাত্র ২০ মিনিট দেখা করার অনুমতি পাবেন সঞ্জয়।
First Published: Thursday, May 16, 2013, 22:59