সারদা তদন্তে এখনও পরিষ্কার নয় ঠিক কত পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে

সারদা তদন্তে এখনও পরিষ্কার নয় ঠিক কত পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে

সারদার বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারিদের প্রাপ্য টাকা ফেরতের যে আইনী পথ দেখানো হয়েছিল তা আপাতত বিশ বাঁও জলে। কারণ, বাজেয়াপ্ত করা গাড়িগুলির বর্তমান অবস্থা বলছে, কেজি দরে গাড়িগুলি বিক্রি করলেও তা থেকে উঠে আসবে না আমানতকারীদের ফেরত্‍‍যোগ্য অর্থ।

আট মাস কেটে গেলেও সারদা তদন্তে এখনও পরিষ্কার নয় ঠিক কত পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে। সারদা কোম্পানীর নামে বেনামে নির্দিষ্ট কত সম্পত্তি তারও হিসেব দিতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সারদার বেশ কিছু সম্পত্তি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি কি আদৌ সুরক্ষিত? কারণ, সারদার বাজেয়াপ্ত করা গাড়িগুলির ছবি অন্য কথা বলছে।


এই মুহুর্তে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা, নিউটাউন থানা সহ বেষ কয়েকটি জায়গায় রাখআ হয়েছে বাজেয়াপ্ত করা ষাটটি গাড়ি। এই গাড়িগুলি হয় সারদার সংবাদমাধ্যমে না হয় টাকা তুলে আনার কাজে ব্যবহার করা হত। কয়েকটি গাড়িতে চড়তেন সারদা সম্রাট এবং সারদার সেকেন্ড ইন কমান্ড।

ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার জিম্মায় থাকা অনেক গাড়িরই যন্ত্রাংশ খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সারদার সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত্‍ দেওয়ার আইনী নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়ির যা অবস্থা তাতে কিলোগ্রাম দরে বিক্রি করলেও খরিদ্দার পাওয়া মুশকিল।

শুক্রবার হাইকোর্টে সারদা মামলায় আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আবেদন করেন বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়িগুলি অবিলম্বে নিলামের ব্যবস্থা করার জন্য। তেরই জানুয়ারি সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গাড়িগুলি আনার সময় থেকে একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছানার চৌহদ্দির মধ্যে কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি।

সারদার গাড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করার ব্যাপারে পুলিসের যে উদ্যোগ ধরা পড়েছিল তা গাড়ি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে উধাও। এই ঘটনার পর আমানতকারীরা তাদের অর্থ ফেরত্‍ পাবেন কিনা তাই নিয়ে নতুন করে সংশয় দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

First Published: Sunday, December 22, 2013, 16:21


comments powered by Disqus