Last Updated: July 31, 2013 23:55

কার্গিল যুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়াকে হত্যা করেছিল তারা। নায়েক গুল নামে এক পাক সেনা প্রকাশ্যে এ কথা জানিয়েছে। এর আগে পাকিস্তান সরকার কখনই ক্যাপ্টেন কালিয়াকে হত্যার কথা মানতে চায়নি। পাক সেনার স্বীকারোক্তির পর আন্তর্জাতিক মহলে সরব হওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছে সৌরভ কালিয়ার পরিবার।
১৯৯৯-এর মে মাসে কার্গিলে পাক সেনার নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ক্যাপ্টেন সৌরভ কালিয়ার। সেইসময়ে কাকসার সেক্টরের বজরঙ্গ পোস্টে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জাঠ রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন কালিয়া সহ পাঁচ ভারতীয় সেনাকে ১৫ই মে অপহরণ করে পাক সেনারা। ৯ই জুন তাঁদের ক্ষতবিক্ষত দেহ ফেরত দেওয়া হয়। মৃতদেহে পাক সেনার নৃশংস অত্যাচারের চিহ্ন থাকলেও তা কখনই মানতে চায়নি ইসলামাবাদ। উল্টে ততকালীন পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক দাবি করেছিলেন, খারাপ আবহাওয়ায় সৌরভ কালিয়া ও তাঁর সঙ্গীদের মৃত্যু হয়েছে। নায়েক গুল নামে এক পাক সেনার স্বীকারোক্তিই বেআব্রু করে দিল ইসলামাবাদের এই মিথ্যাচার। একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের ওই সেনাকর্মী নিজেই ফলাও করে জানিয়েছে সৌরভ কালিয়ার হত্যার কথা।
নৃশংস হত্যার জন্য পাক সরকারকে ক্ষমা প্রার্থনায় বাধ্য করতে কেন্দ্রীয় সরকার, সুপ্রিম কোর্ট, রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৌরভ কালিয়ার বাবা। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ করেছেন তিনি। কেন্দ্রের কাছে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার দাবি জানিয়েছেন সৌরভ কালিয়ার বাবা। সৌরভ কালিয়ার হত্যা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। জেনিভা কনভেশনের সিদ্ধান্ত না মানার জন্য ইসলামাবাদের সমালোচনা করেছেন তাঁরা।
সৌরভ কালিয়াকে হত্যা করা নিয়ে পাক সেনার স্বীকারোক্তি দুদেশের সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
First Published: Wednesday, July 31, 2013, 23:55