Last Updated: November 16, 2013 20:25

মহিলার উপর এক মহিলার ওপর দিনরাত নজরদারি। কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন, সব। আর এই সবটাই করেছে গুজরাত পুলিস। না, ওই মহিলার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। তাহলে কেন এই নজরদারি? জানা গিয়েছে মোদী ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই চলেছে এই নজরদারি। আর এই সবটাই হয়েছে রহস্যজনক এক সাহেবের অঙ্গুলিহেলনে।
কিন্তু, অমিত শাহের সাহেব কে? গোধরা,গুজরাটে হিংসা, ভুয়ো সংঘর্ষ, মানবাধিকার লঙ্ঘন। মোদী সরকারের গায়ে লেগেছে একের পর এক কালো দাগ। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন। পুলিসকে কাজে লাগিয়ে এক মহিলার ওপর নজরদারি। কে দিয়েছেন এই নির্দেশ? মোদী ঘনিষ্ঠ গুজরাতের মন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই হয়েছে এই নজরদারি। বেঙ্গালুরুর ওই মহিলা কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন তার প্রতিটি খুঁটিনাটির হদিশ দিতে হতো অমিত শাহকে। সবটাই হতো টেলিফোনে।
২০০৯ সালের অগাস্ট। এই গোটা মাসটাই ওই মহিলার প্রতিটি মুহূর্তের খবর এভাবেই পৌঁছে যেত অমিত শাহের কাছে। কিন্তু, কেন এভাবে একজন মহিলাকে ট্র্যাক করতো গুজরাত পুলিস? না, ওই মহিলার কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। তাঁর বিরুদ্ধে নেই কোনও মামলা। তবু, এই বেআইনি কাজটা করে গিয়েছে গুজরাত পুলিস। গোটা কাজটায় নেতৃত্ব গিয়েছেন গুজরাতের পুলিস কর্তা জিএল সিঙ্ঘল। তাও শুধুমাত্র অমিত শাহের মৌখিক নির্দেশে। সিবিআই-কে ২৬৭টি অডিও টেপ তুলে দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন জিএল সিঙ্ঘল।
তবে, এটা তো শুধুই হিমশৈলের চূঁড়া। গোটা ঘটনাটা শুধু অমিত শাহের নির্দেশে হয়নি। নির্দেশটা এসেছিল মন্ত্রীর এক সাহেবের কাছ থেকে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। কে এই সাহেব? রাজনীতির কারবারিদের অনেকেই বলছেন অমিত শাহের যেখানে টিকিটি যিনি বেঁধে রেখেছেন, তিনিই এই সাহেব। আর সেটা যদি সত্যি হয়, লোকসভা ভোটের মুখে বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী।
First Published: Saturday, November 16, 2013, 20:25