শঙ্করপুর

শঙ্করপুর

শঙ্করপুরসামনেই হাতছানি দিচ্ছে প্রেম দিবস। অন্য দিকে শীত শেষে বসন্তও জাগ্রত দ্বারে। এবারের ১৪-এর ভ্যালেন্টাইনস এর পরের দিনেই রসেবসে অপেক্ষা করে আছে বাঙালির চিরপুরাতন ভালবাসার দিন সরস্বতী পুজো। সেদিনটা আবার শুক্রবার। অর্থাৎ তার পরের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে ১৪ তারিখের ছুটিটা যদি একটু ম্যানেজ করে নেওয়া যায় তাহলেই সামনে চারটে গোটা দিনের পুঁচকি ছুটি। ছোট্ট ছুটির কটাদিন বাহ্যিক ঘুণ ধরে যাওয়া প্রেমের পালে না হয় একটু হাওয়া লাগিয়েই এলেন। পুরনো প্রেমকে নতুন করে আবিষ্কার করতে অতল সমুদ্রের জুড়ি মেলা ভার।

শঙ্করপুরঃ দীঘার ভিড় যাদের না পসন্দ, আবার মাসের মাঝামাঝি মন্দারমণিটা ঠিক পকেট পারমিট করছে না, তাদের জন্য ছোট্ট ছুটিতে শঙ্করপুর পারফেক্ট ডেস্টিনেশন। দীঘার সমুদ্রের মাদকতা আর মন্দামণির নির্জনতা দুটোরই ভরপুর সন্ধান মিলবে এখানে।

এখনও এখানকার বিচ পুরোপুরি গ্রাস করেনি বড় বড় ইমারত। এখনও এখানে বেঁচে আছে ঝাউ বন। চাঁদের রূপোলি আলোর সঙ্গে সমুদ্রের সাদা ফেনা বালিয়াড়ি ছুঁয়ে মিশে যায় একজন আরেকজনের মধ্যে। তাই ভালবাসার ছোট্ট অবসরের কটা দিন শঙ্করপুরের বুকে সঁপে আসলে হতাশ হতে হবে না।

হাওড়া স্টেশন থেকে দীঘা গামী যে কোনও ট্রেনে চেপে রামনগর। সেখান থেকে ভাড়া করা গাড়ি বা ভ্যানে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায় শঙ্করপুরে। এছাড়া কলকাতা থেকে দীঘার বহু এসি, নন এসি বাস ছাড়ে। যে কোন একটায় চেপে চোদ্দ মাইল। সেখান থেকে ভাড়া গাড়িতে শঙ্করপুর।

First Published: Thursday, February 7, 2013, 16:35


comments powered by Disqus