Last Updated: November 18, 2013 21:42

শুধু মা-ছেলের মৃত্যু নয়। সল্টলেকের ভট্টাচার্য পরিবারে মৃত্যু-মিছিলের শুরুটা হয়েছিল মেয়ে শর্মিষ্ঠা সরকারের আত্মহত্যা দিয়ে। এবছরই মে মাসে বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। মা-ছেলে-মেয়ে প্রত্যেকে ভুগছিলেন গভীর মানসিক অবসাদে। ভট্টাচার্য বাড়িতে আত্মহত্যার ছায়া এই প্রথম নয়। স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য ও ছেলে সৌম্য ভট্টাচার্যকে হারানোর আগেও সন্তান হারানোর শোক কাঁদিয়েছে পঁচাত্তর বছরের শ্যামলকৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে। মাত্র পাঁচ মাস আগে বাড়ির মধ্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁর মেয়ে শর্মিষ্ঠা। বিয়ের পর তিনি চলে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। কিছুদিন পর তাঁরা কলকাতায় ফিরে আসেন। থাকছিলেন এই বাড়িতেই।
নানা কারণে মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন শর্মিষ্ঠা। তাঁর নামও জড়িয়ে গিয়েছিল ভাই সৌম্যর স্ত্রীর দায়ের করা ৪৯৮এ মামলায়। এ নিয়ে বেশ চাপে ছিলেন তিনি। পরিবারের বক্তব্য, দিদির মৃত্যু সৌম্যর জীবনেও বড় ধাক্কা ছিল। এতে তাঁর মানসিক অবসাদ আরও গভীর হয়। একদিকে নিজের অসুখী দাম্পত্য জীবনের ছায়া, অন্যদিকে চাকরিক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তাঁকে আরও অসুস্থ করে তোলে।
মেয়ের মৃত্যু, ছেলের এরকম অবস্থা দেখে মা তন্দ্রা ভট্টাচার্যও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে আত্মহত্যার প্রবণতা তাঁর মধ্যে ছিল না বলে দাবি পরিবারের। যা ছিল, তা হল ছেলে সৌম্যর জন্য অন্ধ স্নেহ। এই একটি কারণই তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে পরিবারের দাবি। চিকিত্সা চলছিল মা-ছেলে দুজনের। কিন্তু কাজে এল না বৃদ্ধ শ্যামলকৃষ্ণবাবুর কোনও চেষ্টাই। জীবনসায়াহ্নে এভাবে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে সবাইকে হারিয়ে এখন তিনি শোকে পাথর।
First Published: Monday, November 18, 2013, 21:42